নীল বণিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ৫ অক্টোবর:
মনীশ শুক্লার খুনের জন্য গোটা ব্যারাকপুর জুড়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে। সোমবার ব্যারাকপুরে এই কথা বলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, বিজেপি কাউন্সিলর তথা ব্যারাকপুরের জনপ্রিয় নেতা মনীশ শুক্লা খুন হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এর ফল কি হবে তা আমার জানা নেই। জনরোষ কোন দিকে বইবে তাও আমরা বলতে পারছি না।
গতকাল রাতে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগর থানা মোড় সংলগ্ন এলাকায় গুলি বিদ্ধ হয়ে খুন হন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ট বিজেপি নেতা তথা টিটাগড় পৌরসভার প্রাক্তন বিজিপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। গতকাল বাইকে করে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে মনীশ শুক্লাকে। তাঁর মাথায় ও বুকেও গুলি লেগেছিল। দ্রুত ওই বিজেপি নেতাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় কলকাতার বাইপাসের ধারে এক বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় আজ সকাল থেকে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ব্যারাকপুরে ফের খুনের রাজনীতি শুরু করল। আগেও ব্যারাকপুরে খুনের রাজনীতি করেছে তৃণমূল। তবে মনীশ শুক্লাকে খুন করে তৃণমূলের হার্মাদরা ঠিক করেনি। এর ফল তৃণমূলকে ভুগতে হবে বলে রাজ্যের শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন অর্জুন সিং। তবে কোন পথে এই ঘটনার মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সামনে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, তৃণমূলের খুনের রাজনীতি আমরা প্রতিহত করব। তবে কীভাবে করব তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সামনে আলোচনা করব না।
মনীশ শুক্লা খুন হওয়ায় সকাল থেকেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করেছেন বিজেপি কর্মীরা। ব্যারাকপুরেও সকাল থেকেই উত্তেজনা রয়েছে। অশান্ত ব্যারাকপুরকে শান্ত করতে সকাল বেলা থেকেই ব্যারাকপুরে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় সকালবেলায় ব্যারাকপুরে পৌঁছেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি দলের প্রয়াত নেতা মনীশ শুক্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। দল পাশে রয়েছে সেই বার্তাও প্রয়াত নেতার পরিবারকে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।