আমাদের ভারত, ২৮ জুলাই: টোকিও অলিম্পিকে ভারতের জয়ের শুরুটা হয়েছিল ভার উত্তোলনে মীরাবাই চানুর হাত ধরে রূপোর পদক জিতে। শনিবার একদিকে বঙ্গ তনয়া সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় যখন টেবিল টেনিসে প্রথম রাউন্ড পার করে, অন্যদিকে আর এক খেলোয়াড় মানিকা বাত্রা জড়িয়ে পড়ে বিতর্কে।
শনিবারের টেবিল টেনিসের প্রথম রাউন্ডে গ্রেট ব্রিটেনের টিনটিন হো কে অনায়াসেই হারিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যান কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী মানিকা বাত্রা। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় যখন দেখা যায় কোচের স্থান ফাঁকা। মানিকা নিজেই কোচের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সূত্রের খবর, মানিকা তাঁর ব্যক্তিগত কোচ সন্ময় পরাঞ্জপেকে সঙ্গে নিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন মান্যতা না পেলে জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়কে ছাড়াই ম্যাচ খেলেছিলেন মানিকা। দ্বিতীয় রাউন্ডে শরথ কমলের সাথে মিক্স ডবল ম্যাচ চলাকালীন সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ সেখানে উপস্থিত থাকলেও তাঁর পরামর্শ মানিকা মানেননি। মানিকাকে গ্যালরি থেকে পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছিলো তার ব্যক্তিগত কোচকে। ঐদিনও মানিকা ইউক্রেনের মার্গারিটা পেসোৎস্কারকে হারিয়ে সেই ম্যাচ জিতেছিল।
জাতীয় কোচকে অস্বীকার করা এবং তাঁর সঙ্গে এহেন ব্যবহারের প্রসঙ্গে ভারতীয় টেবিল টেনিস দলের ম্যানেজার এম পি সিং জানিয়েছেন, অলিম্পিকের পর সর্ব ভারতীয় টেবিল টেনিস সংস্থাকে দেওয়া রিপোর্টে সকল বিষয়টির উল্লেখ থাকবে। মানিকার ব্যক্তিগত কোচকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আবেদন অলিম্পিক্স আয়োজকরা মানেনি তাই তাঁকে ম্যাচে মানিকার কোচ হিসাবে স্থান দেওয়া যায়নি। কিন্তু মানিকা অন্য কোনও কোচের পরামর্শ নিতে রাজি নয়।
তবে সন্ময় টিমের সাথে টোকিয়ো যান কিন্তু তাঁকে কর্তাদের নির্দেশে হোটেল রুমেই প্রথম দিন থাকতে হয়। সে কারণেই মানিকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে অনুমান। দেশে ফিরলে রিপোর্ট পেশ করা কালীন তাঁর বিরূদ্ধে কোন পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।