আমাদের ভারত, ২৫ জুন: “মগের মুলুক শুনেছে সবাই, জেহাদিদের মুলুক কাকে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সবাই চাক্ষুষ করছে।” প্রহৃত যুবকের ছবি-সহ সামাজিক মাধ্যমে এই অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “বিধর্মীদের হাত থেকে “জগন্নাথ দেবের প্রসাদ” নিতে মানা করায় সনাতনী ভাইয়ের ভয়াবহ পরিণতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জেহাদিদের সন্ত্রাস অব্যাহত, এবং তাদের টার্গেট শুধুমাত্র হিন্দুরা। গত মে মাসে বারুইপুরের কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামে বজরঙ্গবলীর মন্দিরে আক্রমণ করে ভাঙ্গচুরের পর আজ ঐ গ্রামেরই হিন্দু যুবক, মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনার একজন সাক্ষী পুলক কয়ালের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালালো ১) ইলিয়াস সেখ ২) রহিম মোল্লা ৩) করিম মোল্লা এবং ৪) রহমান মোল্লা।
এরা সকলেই তৃণমূলের সাথে যুক্ত এবং মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত। অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি, কারণটা কী তা সকলেই বোঝেন।
গতকাল এই সকল বিধর্মীরা “মহাপ্রভুর প্রসাদের” নামে মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ করতে গ্রামে ঢুকলে পুলক কয়াল তার প্রতিবাদ করেন এবং প্যাকেট গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনার সাক্ষী হওয়ার ‘অপরাধে’ ও অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য পুলক ভাইয়ের উপরে বিগত এক মাস ধরে হুমকি ও শাসানি চলছিলই। গতকালক তার প্রতিবাদের পর এই জেহাদিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আজ তার উপর বাঁশ, রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায়। ভাই পুলকের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর এবং তিনি বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মমতা ব্যানার্জি তাঁর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে জেহাদিদের লাইসেন্স দিয়ে রেখেছেন হিন্দুদের উপর ও হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগের ওপর আক্রমণ করার জন্য। মমতা ব্যানার্জিকে বলবো আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন, এই খেলা বন্ধ করুন। প্রশাসনকে অবিলম্বে এই সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলুন।”