আমাদের ভারত, ১০ জুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান অসমের মা কামাক্ষা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ওয়াজাহাদ খান। তার বিরুদ্ধে অসম হরিয়ানা- সহ কলকাতার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাকে সোমবার গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু ওয়াজাহাদ খানকে নিরাপত্তা দিতেই মমতার পুলিশ এই গ্রেফতারি করেছে বলে অভিযোগ করে সরব সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্ব।
ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আর্মহার্স্ট স্ট্রিটের কেশবচন্দ্র সেন লেনের ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আসলে নিরাপত্তা দিতেই কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাদ খানকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, “ওয়াজাহদ খানকে যখন গ্রেপ্তার করে পুলিশি হেফাজত বা পিসিতে রাখা হয়েছে তখন অন্য অপরাধিদের ক্ষেত্রে এই ধরনের গ্রেফতারিতে পুলিশি হেফাজত হলেও ওয়াজাহদ খানের জন্য যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে প্রটেকশন কাস্টাডি বা নিরাপত্তাদানকারী হেফাজত। বিজেপি নেতা জানান, কেবল অসম নয়, হরিয়ানাতেও এই ওয়াজাহাদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাই যাতে অসম পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, ওয়াজাহাদ খানকে ধরে নিয়ে না যেতে পারে তাই এই গ্রেফতারি।
তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওয়াজাহাদ খান যেন নিশ্চিন্তে থাকেন, তাকে অসমে নিয়ে যাওয়া হবেই। সুকান্তবাবু বলেন, “আগামীকাল আমি অসম যাচ্ছি। অসমের মানুষের আক্রোশ আমি বুঝতে পেরেছি। ওয়াজাহাদ খানকে আজ, না হয় কাল অসমে নিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করা হবে। যাতে উনি আর এই ধরনের পোস্ট জীবনেও করার সাহস দেখাতে না পারেন।
এই ওয়াজাহাদ খানই পুনের আইন ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলীর নামে এফ আই আর দায়ের করেছিল। যার ফলে শর্মিষ্ঠা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এবার তাকেও কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
যদিও সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওয়াজাহাদ খানকে তার অপরাধের জন্য কলকাতা পুলিশ বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি, বরং তাকে নিরাপদে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কারণ, অসম, হরিয়ানা পুলিশে হিন্দুদের নিশানা করে তার করা আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে বিজেপির দাবি, তোষণকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাহজাহানকে যেভাবে বাঁচাতে পারেননি ওয়াজাহাদকেও পারবে না।