আমাদের ভারত, ২৭ এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন ও পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু বিরোধী চরিত্র প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন সিএএ আন্দোলনের সময় যখন ট্রেন পোড়ানো হয়েছিল তখন কেন রাজ্য পুলিশ গর্তে ঢুকে বসেছিল? আর এখন কেন হিন্দু আন্দোলন করতে গেলে তার উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ।
সুকান্ত বাবু বলেছেন, বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর পুলিশ যেভাবে ট্রিগার হ্যাপি হয়ে উঠেছে তাতে তারা চিন্তিত। তাঁর দাবি, রাজবংশীরা যেহেতু বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তাই তাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। তাঁর কথায়,
“মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এদের গুলি করে মারা হোক। যারা বিজেপিকে ভোট দেয় তাদের মনে ভয় এবং সন্ত্রাস যাতে কায়েম করা যায় সেই কারণে পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, যখন সিএএ নিয়ে ট্রেন পোড়ানো হচ্ছিল তখন কোথায় ছিল পুলিশ? তখন ভয়ে গর্তে কেন ঢুকে গিয়েছিল আপনার পুলিশ? তখন পুলিশকে বলেছিলেন যেন কোন প্রো অ্যাকটিভ স্টেপ নেবেন না। কেন তখন যারা ট্রেন পোড়াচ্ছিল তারা একটি বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায়ের, আর আজকে যারা আন্দোলন করছে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের? তাই আপনার পুলিশ তাদেরকে গুলি করে মারতে উদ্যত হয়েছে?” তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হিন্দু বিরোধী চরিত্র গোটা দেশের সামনে প্রকাশিত হয়ে গেছে এবং আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন মানুষ সেখানেই প্রতিবাদ দেখাবে।
বিজেপি নেতার আরও দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে আছেন। তার মধ্যেই রাজবংশীদের সঙ্গে একের পর এক এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। সুকান্ত বলেন, তারা চাইছেন এখানকার এসসি সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে অত্যাচার হোক। তাদের নির্দেশেই এই কাজ করছে পুলিশ।

