আমাদের ভারত, ১৩ অক্টোবর: দুর্গাপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে একসাথে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটে সংসদ সুকান্ত মজুমদার। রাতে মেয়েদের বাইরে বেরনো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এনারা বাবরের আমলের লোক। টাইম মেশিন থাকলে তাতে চাপিয়ে ওনাদের বাবরের আমলে পাঠানো যেতো।
উত্তর মালদা জেলার সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা শাসকের অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভার কর্মসূচি নিয়েছিল মালদা জেলা বিজেপি। সেইখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাংলার মানুষের মান সম্মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের মেয়েকে রক্ষা করতে পারছি না। ওড়িশা থেকে যিনি এসেছিলেন তাকেও রক্ষা করতে পারছি না।
রাতে মেয়েদের বেরনো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এনারা বাবরের আমলের লোক। টাইম মেশিন থাকলে ওনাদের তাতে চাপিয়ে বাবরের আমলে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিআইএম- এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর মতে, রাজের মুখ্যমন্ত্রী এক নম্বর মিথ্যাবাদী। রাতে মহিলাদের ঘর থেকে বেরনো সংক্রান্ত বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়াকে মৌলবাদী চিন্তাভাবনা বলে কটাক্ষ করেছেন সেলিম। তাঁর কথায় এক নম্বর মিথ্যেবাদী ও মৌলবাদী চিন্তাভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তাঁর কথায় আর জি কর কাণ্ডের পরে কোনো শিক্ষাই নেয়নি রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর মেডিকেলে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনার ৩৬ ঘন্টার পর মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষণ দিলেন তা পুরুষতন্ত্রের চিন্তাভাবনা। মহিলারা রাতে ডিউটি করবেন না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাম নন, লক্ষ্মণও নন, কিন্তু তিনি লক্ষণ রেখা এঁকে দিচ্ছেন। এটা তাঁর কাজ নয়। এটা আগে উত্তর ভারতে হতো। মৌলবাদী চিন্তা ভাবনা। নিজে মহিলা হয়ে মহিলাকে দোষারোপ করছেন। এরপর তো বলবেন মেয়েরা স্কুলে যাবে না।

