তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৮ ডিসেম্বর:
জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে শনিবারই রাঁচি পৌঁছে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের প্রায় সকলেই আসছেন। এনআরসি বিরোধিতার হাত ধরে রাজ্য রাজনীতি এবং জাতীয় স্তরে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে দেশের সব বিরোধী দলই মরিয়া। সেই একই লক্ষ্য পূরণ করতে চান তৃণমূল সুপ্রিমোও। সেই কারণেই হাতে সময় নিয়ে শনিবার তিনি পৌঁছে গেলেন রাঁচিতে।
রাঁচি পৌঁছে রাতেই হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন হেমন্ত সোরেন। বৈঠকও করেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে। এই শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে চলেছেন দেশের তাবড় বিরোধী নেতারা। হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি, এনআরসি ইস্যুতে সেই সব বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মোদি সরকার এনআরসি চালু করলে তা ঠেকানোর ক্ষমতা নেই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর। সেকথা জেনেও এনআরসি-বিরোধী আন্দোলন জারি রাখতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো। যাতে নির্বাচন হলে, এনআরসি-বিরোধিতার হাত ধরে সেই নির্বাচন উতরোতে দলের কোনও অসুবিধে না-হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রী মনে করছেন যে এনআরসি ইস্যু তৃণমূলের জনভিত্তিকে ফের নন্দীগ্রাম পরবর্তী অতুলনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেবে। যার ওপর ভর করে আরও বেশ কিছু বছর নির্বিবাদে এ রাজ্য শাসন করতেন পারবেন তিনি। বাংলার শাসক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও।