সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১১ জানুয়ারি:
দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু হয়ে গেলেও দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় এখনও প্রশমিত হয়নি। বাংলায় সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সেই মমতাই এদিন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। বৈঠকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া চাওয়া ছাড়াও নাগরিকপঞ্জি ও নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন মমতা। পরে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মিনিট ১৫ বৈঠকের পর মমতা রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, ” বৈঠকে বলেছি, আপনি আমার অতিথি। এটা মনে হয়েছে বলে বলছি। এনপিআর, সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে। কোনও মানুষই যেন দেশ থেকে বাদ না যায়। কোনওরকম অত্যাচার না হয়। মানুষে মানুষে বৈষম্য না হয়, এটা দেখতে হবে।”
মমতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, রাজ্য এসেছেন একাধিক কর্মসূচি নিয়ে। এখনই কথা বলবেন না। সুযোগ হলে দিল্লিতে কথা বলে নেবেন।
এদিন ধরনামঞ্চে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাইলেন, ”এবার তোর মরা গাঙে বাণ এসেছে, জয় মা বলে ভাসা তরী”।
ধর্ণা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা বাংলা থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছি। আর সেই বাংলা থেকে আমরা দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব বিল কার্যকর করার যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে, সেটা শুধু খাতা-কলমেই থাকবে, মানুষ না চাইলে তা কার্যকর হবে না। এই আইন অসাংবিধানিক, অমানবিক।’
সিএএ বিরোধিতায় মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। একদিকে তিনি বৈঠক করছেন, আর অন্যদিকে সিএএ বিরোধিতাও করছেন। মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ নয়, দিদি এখন মোদীর এখন কাছাকাছি। আবার বৈঠক সেরেই মোদি বিরোধিতার মঞ্চে যোগদান যে আসলে ভোটব্যাঙ্কের কারণে জনতার চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা এবং সাজানো নাটক, এমনটাই দাবি করছেন বিরোধীরা।