আমাদের ভারত, ২ এপ্রিল: হাওড়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনা ঘটেছে হুগলির রিষড়াতে। সেখানে রবিবার রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক ভাঙ্গচুর, আগুন, ইটবৃষ্টি হয়েছে। আহত হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই ঘটনাতেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিধ্বস্ত। তাই শীঘ্রই বাংলায় আইন শৃঙ্খলা যাতে হাতের বাইরে না বেড়িয়ে যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিধ্বস্ত। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা দরকার। তারপর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিক।
Bengal is going out of control. Mamata Banerjee is unable to control the riots. She is protecting a particular community and targeting Hindus.
Wrote to Union Minister @AmitShah ji for immediate help in West Bengal. pic.twitter.com/pVnwh6mAaL
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) April 2, 2023
সুকান্ত অভিযোগ করেছেন, বাংলার আইন শৃঙ্খলা হাতের বাইরে বেড়িয়ে যাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে অক্ষম। বরং তিনি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কেই লাগাতার রক্ষা করছেন এবং হিন্দুদের টার্গেট করছেন। সুকান্ত নিজের চিঠিতে হাওড়ার ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, ৩১ তারিখে হাওড়া ও ডালখোলায় রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনা ও এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয় জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আবার ওই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এই রাজ্যে কোনো ভাবেই রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনা থামছে না। হুগলি জেলার রিষড়ার রাম নবমীর মিছিলে আজ ফের হামলা হয়েছে যেখানে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ওই মিছিলে রাম ভক্ত সহ দিলীপ ঘোষের ওপরেও পাথর ছোড়া হয়েছে। তার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পুলিশের সামনে এই ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটেছে অথচ পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। সুকান্ত দাবি করেছেন, রিষড়ার উত্তেজনায় পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা তাদের তোলা অভিযোগকে প্রমাণ করে, যে তৃণমূলের প্ররোচনা রয়েছে এই হামলার পেছনে।
সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, একের পর এক ঘটনায় দেখা গেছে মু্খ্যমন্ত্রী বার বার শুধু মাত্র হিন্দুদের টার্গেট করে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করে চলছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ইতিমধ্যেই মমতা ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমের কাছে যে সমস্ত বক্তব্য রেখেছেন তার সবটাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে।
হাওড়া, রিষড়া ছাড়াও তিনি শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে রাজু ঝাঁকে গুলি করে খুন করার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। তাঁর দাবি, শীঘ্রই বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করুক, যাতে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে না চলে যায়। তাঁর মতে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করলে তবেই বাংলার সাধারণ মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে।