আমাদের ভারত, ৪ অক্টোবর: মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে এস আই আর- এর কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই দিনই কলকাতায় বিরাট মিছিল করে এস আই আর- এর বিরোধিতা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই এস আই আর- এর বিরোধিতাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, রাজ্যের আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এস আই আর- এর বিরোধিতা করতে পথে নেমেছেন।
মঙ্গলবার এস আই আর- এর বিরোধিতায় তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল হয় কলকাতায়। সেই মিছিল থেকে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু
এস আই আর নিয়ে তৃণমূলের বিরোধিতাকে চরম কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার। এস আই আর- এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য এস আই আর’কে সামনে রেখে রাজ্যের আসল সমস্যাগুলিকে পিছনে সরিয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, বাংলার প্রকৃত ইস্যু, যে সমস্যাগুলো রয়েছে বাংলায়, সেগুলোকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ২৬ হাজারের চাকরি চলে যাওয়া। সম্প্রতি প্রায় তিন হাজরের মতো গ্রুপ সি- গ্রুপ ডি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছিল তৃণমূল, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক আত্মীয়ার নাম আছে। এফডিআই পার্সেন্টেজ পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে কম। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা এখানে ঘটে চলেছে। রাজ্যে নারীরাও অসুরক্ষিত। এই সব ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এস আই আর- এর বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, এস আই আর নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে। ফলে এটা নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে সুপ্রিম কোর্টে যান।
এদিকে বিএলও’র কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ করা সহ তাদের নিরাপত্তা দাবি করার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এস আই আর- এর কাজ থেকে শিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়া গেলে সত্যিই ভালো হতো, কিন্তু কোনো উপায় নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারী সেভাবে নেই। গত কয়েক বছরে কোনরকম সরকারি নিয়োগ হয়নি। ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী সংখ্যা নেহাত কম, যাদের দিয়ে এই কাজ করানো যায়। ফলে বাধ্য হয়ে এই কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ এই বিষয়েও রাজ্য সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

