সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ মে: নাগরিকত্বও পাবেন। দেশে সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকারও পাবেন। সিএএ কার্যকর করার পর মতুয়াবাসীর সংশয় দূর করতে বনগাঁয় দাঁড়িয়ে জোর গলায় আশ্বাস দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন, বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুর জিতলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার পর মতুয়াদের মধ্যে যে রকম সাড়া প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, সেই সাড়া মেলেনি। উলটে মতুয়া সমাজের অনেকেই সংশয়ে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সিএএ নিয়ে প্রচার করছেন, তাতে অনেকের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে, আদৌ সিএএ-তে আবেদন করা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা। বনগাঁর সভা থেকে সেই সংশয় দূর করার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলে গেলেন, বিভ্রান্ত হবেন না। নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করলে কারও অসুবিধা হবে না। বনগাঁর সভা থেকে শাহের দাবি, “মতুয়া সমাজের মানুষকে আমি আশ্বাস দিচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা বলছেন। বলছেন, সিএএ চালু হলে মানুষ সমস্যায় পড়বেন। আমি বলছি, বিভ্রান্ত হবেন না। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। কারও কোনও অসুবিধা হবে না। আবেদন করুন, নাগরিকত্বও পাবেন। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতেও পারবেন।” এর পরই শাহের ঘোষণা, “বিজেপি জিতলে শান্তনু ঠাকুর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেবেন।
কোনও রাখঢাক না করেই শাহ এদিন বলে দিয়েছেন, হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুরের অনুগামী মতুয়ারা বিজেপির ‘ভোটব্যাঙ্ক’। শাহের বক্তব্য, “দিদি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকায়। আর মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে দেব না। বলে কিনা বাংলায় সিএএ হতে দেব না। আরে দিদি আপনি আটকাবেন কী করে? নাগরিকত্ব কেন্দ্রের বিষয়।” এরপরই শাহের গ্যারান্টি, “দুনিয়ার কোনও শক্তি সিএএ আটকাতে পারবে না।” এদিন তিনি বলেন, ভোটে ইভিএমের কারচুপির যে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী করছেন, তারও সমালোচনা করে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, এই ইভিএমের মাধ্যমে দেওয়া ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন বাংলার মানুষ তার অপশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে তাই ইভিএমের বিরোধিতা করছেন।