আমাদের ভারত,১৭ ডিসেম্বর:সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হচ্ছে। আর এই বিক্ষোভকে বিরোধীরা পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যারা আগুন লাগাচ্ছে, টিভি কিংবা ছবিতে তাদের পোশাক দেখেই তাদের চেনা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই মোদীকে বিভাজনকারী বলে কটাক্ষ করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রী। এবার সেই বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বললেন পোষাক দেখে কি আন্দোলনকারীকে চেনা যায়? পোষাক দেখেযে মানুষকে চেনা যায় আগে কখনো ভাবিনি। আগুন লাগলে তা রাম রহিম সবার গায়েই লাগবে।
যাদবপুর থেকে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল শুরুর আগেই বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন বলেন তিনি বেঁচে থাকতে রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বা এন আর সি লাগু হতে দেবেন না। নেত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পোশাক নিয়ে কথা বলছেন। পোশাক ঠিক করে না বিক্ষোভকারীদের পরিচয়।পোশাক দেখে মানুষ চেনা যায় না। কেউ মাথায় টুপি পড়লেই সে মুসলিম তা বলা যাবেনা। আমার পোশাক দেখে কি আপনি আমায় বিচার করতে পারবেন?
তাই পোশাক দিয়ে বিক্ষোভকারীর পরিচয় ঠিক হয় না।
এদিন নাগরিকত্ব আইন ছাড়াও বর্তমানে দেশের একাধিক ইস্যু নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। আলু পেঁয়াজ জ্বলছে। দেশ জ্বলছে।
বিভাজনের পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ ভারতের পক্ষে সাওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নোটবন্দির প্রসঙ্গ ফের তুলে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশের জেতার জন্যই নোটবন্দি করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছি। সংখ্যার জোরে আইন পাস করানো যায়। কিন্তু মানুষের সমর্থন না পেলে তা কার্যকরী হয় না।
বিল পাশের দিন কেন তৃণমূলের সব সাংসদ উপস্থিত ছিলেন না সংসদে তার সাফাই দিয়ে নেত্রী বলেন, সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি। কবে বিল পাস হবে তা আগে জানানো হয়নি। আর তা না জানায় অনেক সাংসদ পৌঁছাতে পারেননি।