আমাদের ভারত, ৯ জুন: পয়গম্বর বিতর্কে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে বিজেপির নেতানেত্রী নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের নাম না করে গ্রেফতারির দাবি তোলেন।
একাধিক টুইটে তিনি লেখেন, বিজেপির যেসব নেতানেত্রী বিভিন্ন ধরনের ঘৃণা ভাষণ দিয়ে চলেছেন এবং বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাতে দেশে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে দেশের ধর্মীয় বিভাজনেরও পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে টুইটারে তিনি লেখেন, “আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়।
আমি জোরালোভাবে দাবী করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।
একই সঙ্গে, এই ঘৃণ্য প্ররোচনা সত্ত্বেও, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দেড় আগে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মুসলিমদের পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যকে পরে টুইটে সমর্থন জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান নবীন জিন্দাল। এরপরই পশ্চিম এশিয়ার বহু ইসলামিক রাষ্ট্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। একাধিক দেশ ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের ডেকে কার্যত ভর্ৎসনা করে। বেশকিছু দেশ আবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। দেশের ভিতরেও কড়া বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে।
কিন্তু একেবারে উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেন বিদেশের এক রাজনীতিবিদ। ওই বক্তব্যকে সমর্থন করে একাধিক টুইট করেছেন ডাচ রাজনীতিবিদ এবং নেদারল্যান্ডসের আইনসভার সদস্য গির্ট উইল্ডার্স। আরব দেশগুলিও গির্টের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে।