আমাদের ভারত, ৩০ মার্চ:
কলকাতার শ্যামবাজারের রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বুধবার অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল বিজেপি। সেই অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু কিনা বোঝার উপায় নেই।” একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, রামনবমীতে হিন্দু মুসলিম দু’পক্ষকে খুশি রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছেন।
রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতির থেকে নজর ঘোরাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যবার রামনবমীতে নবান্নে বসে তার বীর পুলিশকে রামভক্তদের উপর চড়াও হবার নির্দেশ দেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন হিন্দু ভোট তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে। মুসলমান ভোটও সরছে তাই দু’পক্ষকে খুশি রাখতে তিনি রামনবমীতে ধর্না কর্মসূচিতে বসেছেন। তাঁর কথায়, “রামনবমীতে ধর্নায় বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়কে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। এতে একদিকে যেমন তাঁর বিরুদ্ধে রামনবমীর মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠবে না, তেমনি খুশি হবে মুসলিমরাও।”
অন্যদিকে রাম নবমীতে দলীয় কর্মসূচি রাখার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ হিন্দু কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি রামনবমীতে রাস্তায় বসলেও আমরা বসছি না। কারণ আমরা তো হিন্দু। ওতো হিন্দু নাকি বোঝার উপায় নেই। এবার গিয়েছিল কোনারকে আবার পুজো দিতে। গতবার জগন্নাথের পুজো দেওয়ার কথা মনে আছে? সবেমাত্র মন্দিরের সিঁড়িতে পা দিয়েছে ওপরের পুরোহিত বলছে, এই ম্যাডাম না আর এগোবেন না, এটা হিন্দু মন্দির, এখানে মুসলমানের প্রবেশ নিষেধ। সেই কারণে কখনো মমতা মমতাময়ী, কখনো হিজাব পরা মমতা, কখনো মমতা বোরখা পরা মমতা, কখনো মমতার রোজা রাখা মমতা। তাই ওর ভেলকি জানা যাবে না।”
রাহুলের দাবি, “ও হিন্দু কিনা আমরা জানি না কিন্তু আমরা হিন্দু।আমরা রামভক্ত তাই রামের জন্য আমরা রামনবমীতে রাস্তায় নামব। রামচন্দ্রের জন্য হাটবো, মিছিল করব। রামনবমী পালন করব। ” হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিনের ঘটনা মনে করিয়ে তিনি বলেন, “রামের নামে ভূত পালায় শুনেছিলাম এখন দেখছি রাম নামে পেত্নীও পালায়।”

