পেট্রোল ডিজেলের সেস কমাক মমতা সরকার, না হলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের ভারত, ২ জুন: এবার রাজ্য সরকারকে পেট্রোল-ডিজেলের সেস কমাতে হবে। না হলে নবান্ন অভিযানের হুমকি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, জিএসটি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারে মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রোল ডিজেলের উপর থেকে সেস কমাক রাজ্য সরকার। ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমানো হলে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি। তাদের আরও দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। তার অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থ সাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আসতে বাধ্য।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার শিল্পে পিছিয়ে বলেই জিএসটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে বেশি টাকা পেয়েছে। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক এতটা ক্ষতিপূরণ পায়নি, এর অর্থ হল ওই রাজ্যগুলি কর সংগ্রহে পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক এগিয়ে। আর এই থেকেই স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গ শিল্পে কতটা পিছিয়ে রয়েছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়োগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রায় ১১ হাজার নিয়োগের কথা বলেছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তা রাজ্যে চালু হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ওয়েলনেস সেন্টার। এখন রাজ্য সরকার এই ওয়েলনেস সেন্টারে রাজি হয়েছে। সেখানেই এই নিয়োগ হওয়ার কথা। অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও ওয়েলনেস সেন্টারের নাম বদল করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রেখেছে রাজ্য সরকার। আর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১১ হাজার কেন্দ্রীয় পদে লোক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।

জ্বালানিতে সেস কমানোর বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পেট্রোলের লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং বিদেশে ১০ টাকা দাম কমাতে হবে রাজ্য সরকারকে এবং তা যদি না হয় তাহলে বিজেপি নবান্ন ঘেরাও করতে বাধ্য হবে। এই বিষয়ে মমতা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেছেন, রাজ্যের মানুষ বিরোধী দল হিসেবে তাদের হাতে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না করলে তারা আন্দোলন শুরু করে দেবেন।

একই সঙ্গে ডিএ’র প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ সংস্থায় যারা চাকরি করে তাদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। কেননা এতদিন রাজ্য সরকার বলতো কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ভাগের টাকা দেয় না। এবার কেন্দ্র টাকা দিয়েছে। এবার এক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *