আমাদের ভারত, কলকাতা, ৫ অক্টোবর: বাংলায় নারীদের নিরাপদে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় দরকার।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক বালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ এনে এই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য। একই দাবি করেছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনায়, কুলতলি থানার অন্তর্গত কৃপাখালি এলাকায়, একটি ৯ বছর বয়সী নাবালিকা হিন্দু মেয়ে টিউশন থেকে ফেরার পথে অপহৃত হয়। এর পর তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা নদীর পাড় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অমিত মালব্যর অভিযোগ, কুলতলী থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা থানা আক্রমণ করে। ধর্ষক স্পষ্টতই একজন মুসলিম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিরক্ত হতে পারেন, এই ভয়ে পুলিশ কাজ করতে অনিচ্ছুক।
দুর্গাপূজার সময়, পশ্চিমবঙ্গ দেবী শক্তি উদযাপন করলেও এখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদে নেই। রাজ্যের দায়িত্বে থাকা আসুরিক শক্তি পরাজিত না হলে, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ অব্যাহত থাকবে।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেবী পক্ষের মধ্যে আমার ঘরের দুর্গার সাথে রেপ হচ্ছে। মানুষ ওখানে যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, সেটা শুধু পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয় এটা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রাজ্যটাকে সামলাতে পারছেন না। বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য এই সরকারের যাওয়া উচিত। না হলে বাংলার মানুষের ভবিষ্যৎ খুব অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমাদের ঘরের মেয়েদের যদি মান সম্মান, ইজ্জত না থাকে, কেন দুর্গার পুজো করবো আমরা? কাকে নিয়ে উৎসবে মাতব? মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত বাড়ির মেয়েরা সুরক্ষিত থাকছে না, তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।” তার কথায়, গোটা বাংলাটাই অসুরক্ষিত। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডা–বদমাশ, মাতাল, ধর্ষকদের মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ মানুষের নয়।