কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর , ২৩ ডিসেম্বর: কেন্দ্রের এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে দেশের মুখ মমতা ব্যানার্জি। তিনিই প্রথম প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলেন। তা এখন ১৬টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর কোনো পথ নেই। প্রতিবাদের যে আগুন সারা দেশে বিজেপি ও কেন্দ্র সরকার জ্বালিয়েছে এতে তাঁদেরই হাত পুড়েছে। পিছু হঠতেই হবে। সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল সেরে কালেক্টরেট মোড়ে প্রতিবাদ সভায় এই বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সভাপতি সুব্রত বক্সি।
এদিন মেদিনীপুরে তৃণমূল কার্যালয় থেকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন সুব্রত বক্সি। ছিলেন বিধায়ক দীনেন রায়, শিউলি সাহা, প্রদ্যোত ঘোষ, আশিস চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা।
প্রত্যেকের গলায় ঝুলছিল, ‘নো এনআরসি, নো ক্যাব’ মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
সভায় তিনি জানান, এনআরসি ও ক্যাবের নাম করে রাজ্যে রাজ্যে বিভেদের আগুন জ্বলছে। ছাত্র, শিক্ষক থেকে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
তাঁর প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবু টনক নড়েনি সরকারের। আর কত প্রাণ বলি দিতে হবে? সুব্রত বক্সি জানান, এনআরসির ও ক্যাবের প্রতিবাদে দেশজুড়ে যে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে এর জন্য যা যা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারজন্য দায়ী কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী এক কথা বলছেন আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরেক কথা বলছেন। দুজনেই স্ববিরোধী কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আর বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলিকে ভয় দেখাচ্ছেন। ‘
মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাহস করে প্রথমে এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। বিজেপির চালাকি ধরে ফেলেছেন তাই তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। তবে এতে যে হিতে বিপরীত হচ্ছে তাও নিজেদের জেদে অটল রয়েছে কেন্দ্র সরকার।
এখন উদ্বাস্তু কলোনীর জন্য যে দরদ বিজেপি দেখাচ্ছে এর অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের বসবাসকারী কলোনীর মানুষের জন্য জমির পাট্টা দিয়েছেন। তাঁরা এখন মাথা উঁচু করে বাঁচেন। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য রাজ্যের কোনো মানুষ কোনো কাগজে স্বাক্ষর করবেন না।