Birbhum, TMC, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন কাজল শেখ

আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১৯ অক্টোবর: “দুর্গাপূজা আগেও ছিল, কিন্তু সর্বজনীন ছিল না। দুর্গা পুজোকে সর্বজনীন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। নানুরের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বললেন কাজল শেখ। এই মন্তব্যকে ঘরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, “হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি কাজল শেখের কাছে আমাদের শিখতে হবে না। উনি হিন্দু সনাতনি ধর্মের বিষয়ে কতটুকু জানেন? উনি মা দুর্গাকে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।

একই দিনে তৃণমূলের তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান বীরভূমে। দুটিতে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থাকলেও নানুরে ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস‍্য তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, রাজ‍্য সংখ‍্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নানুরের বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, বীরভূম জেলা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, জেলা মহিলা সভানেত্রী সাহারা মণ্ডল এবং নানুরের নেতা- কর্মীরা।

শনিবার বীরভূমে তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ। অন্যদিকে নানুরে সভাধিপতি কাজল শেখের সভায় কাজল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং দলীয় নেতৃত্ব। নানুরে ডাক না পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। এদিনের দুটি সভাতেই একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। অনুব্রত মন্ডল বলেন, “দুটি সভা করে নানুরে পৌঁছনো সম্ভব নয়, তাই বিকাশ রায় চৌধুরীকে পাঠিয়েছি। সাংসদ অসিত মালও গিয়েছে। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে যাব”। অনেকটা একই বক্তব্য কাজলের। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বীরভূম জেলায় একটাই দল রয়েছে সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটাই গ্রুপ সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রুপ। একটাই আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার নির্দেশে আমরা সকলে চলছি। তাঁরাই আমাকে সভাধিপতি করেছেন। তাঁদের নির্দেশেই আমি বীরভূমকে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি”।

দুর্গা পুজো প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, “কোভিডের প্রাদুর্ভাবের সময় ক্লাবগুলোর হাতে পয়সা ছিল না। সামর্থ্য ছিল না পুজো করার। সেই সময় আর্থিক অনুদানের কথা ভাবেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। এবছর সারা বীরভূমে দুই হাজার দুশো ষাটটি দুর্গা পূজা হয়েছে।পঁচাশি হাজার টাকা করে অনুদান দিলে চব্বিশ কোটি অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নানুরে শতাধিক দুর্গাপূজা হয়েছে। সেখানেও এক কোটির বেশি অনুদান দিয়েছেন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *