Mamata, Bankura, administrative meeting, আগামীকাল খাতড়ায় প্রশাসনিক সভা, বাঁকুড়া এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৭ ফেব্রুয়ারি: বুধবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসাসনিক সভা। তার আগে আজই মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ায় পা রাখলেন। আজ সন্ধে নাগাদ তাঁর আসার কথা থাকলেও কিছু আগেই এসে পৌঁছান বাঁকুড়া স্টেডিয়ামের হ্যালিপ্যাডে। খাতড়ার খড়বন ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসভায় ৫০ হাজার মানুষ জমায়েত হবে বলে জানাগেছে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে এই সংখ্যক লোক নিয়ে আসতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সকাল একটু গড়ালেই গ্রাম শহর থেকে দলের কর্মী সমর্থকরা বাস, লরি ম্যাটাডোর করে গন্তব্যস্থল খড়বনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করবেন। এর জন্য বুথ স্তরে কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শতাধিক বাস ও ছোটো গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের নিয়ে যেতে প্রশাসন আলাদাভাবে ব্যবস্থা করেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে বাঁকুড়া শহর দলীয় পতাকা, ফেষ্টুন ও ফ্লেক্সে ভরে উঠেছে। তৈরী করা হয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তায় তোরণ। বাঁকুড়া স্টেডিয়ামের হ্যালিপ্যাডে যেখানে নেমে মুখ্যমন্ত্রী সার্কিট হাউসে এলেন সেই রাস্তা আল্পনা দিয়ে ভারাট করা হয়েছে। বাঁকুড়া থেকে খাতড়া যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় কাট আউট ও দলীয় পতাকায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী ও বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ৫০ হাজার লোকের জমায়েত হবেই। দূর দূরান্ত থেকে আরও মানুষ আসতে চাইলেও আমরা পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারিনি। যাত্রী পরিষেবার কথা চিন্তা করেই আমরা বেশি সংখ্যায় বাস ভাড়া করিনি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে নাগাদ যখন মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ায় এসে নামলেন তখন মহিলারা উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন। এখান থেকে সার্কিট হাউসে আসেন পায়ে হেঁটে। রাস্তার দু’পাশে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে তিনি হাত নেড়ে প্রতিউত্তর দেন। এই পথেই ভৈরবস্থান মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সাড়ে ৩টে নাগাদ সার্কিট হাউসে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। খাতড়ার খড়বন থেকে জেলার জঙ্গলমহলের কুড়মি ও আদিবাসীদের নিয়ে কি বলেন সেদিকে যেমন নজর থাকবে তেমনি নির্বাচনের আগে জেলাবাসীর প্রতি কতটা কল্পতরু হবেন সেদিকেই নজর সকলের।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কটাক্ষ করে বলেন, সন্দেশখালির মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলছেন তৃণমূলের নেতারা। আর উনি সরকারি খরচে জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক শোভা দেখার জন্য ভ্রমনে বেরিয়েছেন। জেলার মানুষ ওনাকে জবাব দিতে তৈরি আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *