সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ মার্চ: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করতে বুধবার বারাণসী গিয়েছিলেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে জেলায় জেলায় ধিক্কার মিছিল কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায় বিশ্বজিত দাস ও রতন ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল করেন বনগাঁর জোড়াফুল শিবিরের কর্মী সমর্থকরা।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করতে বুধবার বারাণসী গিয়েছেন মমতা। সেখানে গিয়ে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পথেই তাঁর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখানো হয় কালো পতাকা। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও তোলা হয়। পাল্টা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানও তুলতে দেখা যায় মমতাকে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সপার কর্মীরাও ‘মমতা জিন্দাবাদ’ ধ্বনি তোলেন। এই ঘটনার পরেই বাংলার প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ফেসবুক ও টুইটারেও বিক্ষোভ-কর্মসূচির কথা ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। একই ডাক দেন দলের জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার বিকালে বনগাঁ শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক থেকে মৌন প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিলটি বনগাঁ শহর ঘুরে এক নম্বর রেলগেট এলাকায় শেষ হয়।
এদিনের এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁর প্রাক্তন পৌর প্রশাসক গোপাল শেঠ, রতন ঘোষ সহ বনগাঁ পৌরসভার জয়ী কাউন্সিলরা ও বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিশ্বজিত দাস বলেন, বাংলায় অনেক নেতা মন্ত্রীরা এসেছেন আমরা এই ভাবে কারও উপর আক্রমণ করিনি যে ভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই ঘটনাকে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ ধিক্কার জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ঘটনার যোগ্য জবাব পাবেন যোগী সরকারের দল।