রাজেন রায়, কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার প্রত্যেক বারের মত কলকাতা পুলিশের সঙ্গে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সমন্বয় বৈঠকে ফের দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই করা বলে দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি দমকল ও অন্যান্য কর মকুব করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকি পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ খরচের ৫০ শতাংশ দিতে হবে বলেও এদিন জানান তিনি। একই সঙ্গে এ বার পুজো কমিটিগুলিকে পুরসভা বা পঞ্চায়েতকে কোনও কর দিতে হবে না। পুরসভা বা ফায়ার ব্রিগেডের খরচও দিতে হবে না।
এর পরেই কোভিড মহামারী পরিস্থিতিতে পুজোর আয়োজনে একাধিক নির্দেশিকা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে তিনি বলেছেন, মণ্ডপ খোলামেলা করতে হবে। ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা রাখতে হবে। দর্শকদের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
পুজো উপলক্ষে কোনওরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবারে নিষিদ্ধ। অঞ্জলি, ভোগ থেকে সিঁদুর খেলা সমস্ত কিছুই দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে। পুজোয় যারা শারদ সম্মান দেন, তারা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে দুটি গাড়িতে ঘুরতে পারবেন। ভার্চুয়াল ভাবেই বিশ্ববাংলা পুরষ্কারও দেওয়া হবে। প্রত্যেক মণ্ডপের সামনে সচেতনতা পোস্টার লাগাতে হবে, তার মধ্যে কোভিড হেল্পলাইন এর উল্লেখ থাকবে। কোনওরকম শোভাযাত্রা ছাড়া নির্দিষ্ট ঘোষিত দিনে বিসর্জন করতে হবে। ২ অক্টোবর থেকে কলকাতা পুলিশের ‘আসান’ পেজের মাধ্যমে অনুমতি দেওয়া শুরু হবে। ন্যূনতম ১০ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুজো কমিটিই এবারে ছাড়পত্র পাবেন। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে দুর্গাপূজা কার্নিভালও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।