তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১১ জানুয়ারি: ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে সরাসরি বিবাদে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। শনিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি চালুর চেষ্টার প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্নামঞ্চ তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। পালটা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাম পড়ুয়ারাও।
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু, সন্ধে সাতটার পরই বদলে যায় বিক্ষোভের চেহারা। এদিন ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এতেই ক্ষোভ বাড়ে বাম পড়ুয়াদের। তারা উত্তেজিত হয়ে ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেয়। ঘেরাও করে তৃণমূল পড়ুয়াদের। মুখ্যমন্ত্রী ফের ধর্নামঞ্চে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত পড়ুয়াদের মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে আনেননি। উনি নিজেই এসেছেন। তারপর বোঝানোর চেষ্টা করেন, প্রধানমন্ত্রী কলকাতা সফরে আসায়, তিনি সৌজন্যের খাতিরে রাজভবনে গিয়েছিলেন।
কিন্তু, ছাত্ররা মুখ্যমন্ত্রীর সেই যুক্তি শুনতে রাজি হয়নি। উলটে স্লোগান দেয়, ‘সেটিং হল তলে তলে, দিদি তুমি কার দলে?’ এই ঘটনায় দৃশ্যতই হতাশ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাম পড়ুয়াদের বলেন, ‘যতক্ষণ পারো স্লোগান দাও। যা খুশি কর।’ এরপর দেখা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। সেই স্লোগানে গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল সদস্যদের ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ চলে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যায়, ফিরহাদ হাকিম স্লোগান দিচ্ছেন। সেই স্লোগানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাল দিচ্ছেন।