আমাদের ভারত, মালদা, ৮ এপ্রিল: করোনা ভাইরাসের জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন। ফলে স্কুল-কলেজ সবই রয়েছে বন্ধ। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে স্কুলের ছাত্রীরা। এরই মধ্যে মালদা জেলার বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা করাচ্ছেন ছাত্রীদের। আর লকডাউনের মধ্যে এমনই উদ্যোগে খুশি ছাত্রী থেকে অভিভাবক মহল।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে উত্তীর্ণ করা হবে। তবুও ছাত্রীরা পড়াশোনায় যাতে পিছিয়ে না থাকে সেই কারণে মালদা জেলার বার্লো বালিকা স্কুলের শিক্ষিকারা এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ছাত্রীদের পড়াশোনা করানো যায় সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষিকারা বইয়ের অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করবেন। আর তা ক্যামেরাবন্দি করে ইউটিউবে আপলোড করা হবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে সমস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকদের জানানো হয়। সেইমতো বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ইউটিউব দেখে শিক্ষিকাদের পড়ানো সাজেশন নেবেন। সেইমতো বই পড়ে ছাত্রীরা মুখস্ত করবে। তবে এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণির জন্য করা হচ্ছে।
এক ছাত্রী তিয়াশা কর জানায়, লকডাউনের জেরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছিলাম। তবে দিদিমণির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি।
অভিভাবক সোমা কর জানান, আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম কীভাবে সিলেবাস শেষ করে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। এতে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়বে। ক্ষতিও হবে। তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে স্কুলের শিক্ষিকারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যথেষ্ট ভালো উদ্যোগ।
মালদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার বলেন, স্কুল বন্ধ থাকার ফলে সিলেবাস সঠিক সময়ে শেষ করা যাবে না। এই নিয়ে আমি অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করি। এরপরে শিক্ষিকারা সিদ্ধান্ত নেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিষয়গুলি ক্যামেরাবন্দি করে ইউটিউবে আপলোড করবে। আর সেই সমস্ত বিষয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সেখান থেকেই তারা সেই বিষয়ে জানতে ও বুঝতে পারবে। এতে ঘরে বসেই ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারবে। তবে বর্তমানে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে।পরবর্তীতে এই অবস্থা চলতে থাকলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত করা হবে।