আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: চোরাপথে ভারতে ঢুকে ভোটার তালিকায় নাম তুলে বসা বহিরাগতদের নাম বাতিলের কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে স্বীকৃত ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টেন্ট, জাতীয়তাবাদী বিশ্লেষক সুদীপ্ত গুহ। প্রশ্ন তুলেছেন, “কাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন মহুয়া মৈত্র আমাদের জানা দরকার।”
সুদীপ্তবাবুর ব্যাখ্যা, “১৯৪৬- এ ভাগলপুরে দাঙ্গার পরে ১০ লক্ষ বিহারি মুসলিম পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা যায় পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশে। ১৯৭১- এর ভোটে শেখ মুজিব জিতলে, পাকিস্তান তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং অত্যাচার শুরু হয় রাজাকারদের। আর এই বিহারি মুসলিমরা সাহায্য করা শুরু করে রাজাকারদের। কিন্তু ডিসেম্বরে পাকিস্তান হেরে গেলে এরা ক্যাম্পেই থেকে যায়। পালাতে পারেনি বা কেউ নিয়ে যায়নি। এদের সঙ্গে যোগ দেয় আত্মসমর্পণ না করা অস্ত্রসহ পাকিস্তানী সেনারা। ভারত বাংলাদেশ ছাড়লে, বাংলাদেশ পুলিশ এদের ধরতে গেলে, এদের অস্ত্রে মারা যায় বহু পুলিশ।
দিনে দিনে কিছু লোকজন পালিয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে। এদের একজনকেও বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট বা ভোটার কার্ড জারি করেনি। এদের কিছু লোক আজ পুরপিতা বা পঞ্চায়েত প্রধান বা বিধায়ক বা মন্ত্রী হয়ে আছে আমাদের রাজ্যে এবং বিহারে।
নির্বাচন কমিশন এদের ধরলে, যে দেশে এরা ধর্ম রক্ষার জন্য ১৯৪৭- এ ছিল, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান এদের নেবে না। তাই এদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু মহুয়া তো আইনজীবী না। বিহারি না। মুসলিম না। বাংলাদেশি বা পাকিস্তান না। তাহলে কেন? যে আবর্জনা বাংলাদেশ বা পাকিস্তান ত্যাগ করেছে, সেই আবর্জনা কার স্বার্থে আমাদের দেশে সাজিয়ে রাখতে চায় মহুয়া?
আসলে এই চেকিং পশ্চিমবঙ্গে শুরু হলে, কলকাতার আধা খালি হয়ে যাবে। বহু বঙ্গীয় জনপ্রতিনিধিকে দেশত্যাগ করতে হবে অচিরেই। তাই এই উদ্যোগ। আর তাই লক্ষের হিসাবে বলা হচ্ছে, কোটি না।”