আমাদের ভারত, ২৯ আগস্ট: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একেবারে ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর কারণে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল সাংসদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলধনা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যার্থ। এর দায়ভার স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরে মহুয়ার বক্তব্য, আরো বিস্ফোরক হয়ে ওঠে। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন যদি সীমান্তে পাহারায় কোনো ব্যবস্থা না থাকে আর হাজার হাজার মানুষ অবাধে ঢুকে পড়ে, আমাদের জমি দখল করে, নারীদের উপর চোখ তুলে তাকায় তাহলে দায়িত্বটা কার? এখানেই তিনি ভয়ঙ্কর মন্তব্য করে বলেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তকে সুরক্ষা দিতে অক্ষম। তার মাথা কেটে টেবিলে রাখা উচিত।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতিক এক মন্তব্যের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নিজে অনুপ্রবেশে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মহুয়ার এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যে বড়সড় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কৃষ্ণনগরে বিজেপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে এফআই’র দায়ের করা হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, এই কথাটা দেশবিরোধী কথা। রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মহুয়া মিত্র। বিজেপির স্থানীয় নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে যে সব জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে, একজন সাংসদ হিসেবে সেই জঙ্গিদের বন্ধু হিসেবে কি মহুয়া মৈত্র কাজ করছেন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল সাংসদকে খোঁচা দিয়ে বলেন, মহুয়া মৈত্রকে দেখলে বোঝা যায়, “ইংরেজি জানলেই যে সঠিক শিক্ষা রয়েছে তা নয়।”
তৃণমূলের প্রথম সারির এই সাংসদ এর আগেও বহুবার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আলোচনায় এসেছেন। এমনকি দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও তিনি সমালোচনা বা বিতর্কিত মন্তব্য করে ঝড় তুলেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করে দলের ভেতরে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছেন। বিতর্ক ও মহুয়া দু’জনে একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে সম্প্রতি।