আমাদের ভারত,৯ মার্চ: এবার কি তাহলে, কর্ণাটকের পুনরাবৃত্তি হতে মধ্যপ্রদেশেও? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সরকারের ৬ জন মন্ত্রী সহ ১৭ জন বিধায়ক এখন রয়েছেন বেঙ্গালুরুর হোটেলে। সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লি থেকে তিনটি চার্টার্ড বিমানে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্নাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে।
কিন্তু এর মধ্যেই রাজনৈতিক মহলে এক নতুন জল্পনা উঁকি দিয়েছে। ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিজেপি শাসিত কর্নাটকে পৌঁছানোর পেছনে কি ঘর শত্রু বিভীষণ এর কাজ করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? আর তার কারণ কি মুখ্যমন্ত্রীত্ব না পাওয়া?
শোনা যাচ্ছে বেঙ্গালুরুর বিরোধী বিধায়করা সকলেই সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ।
মাত্র ১৫ মাস বয়স কমলনাথ সরকারের। তির মধ্যেইএই ১৭ জন বিধায়কের অনুপস্থিতি কমলনাথ সরকারের আয়ু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বরাবরই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্যতম দাবিদার ছিলেন রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে কমলনাথকেই বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তারপর থেকেই সিন্ধিয়াকে দেখা গেছে একাধিক বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করতে। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদের পর মোদী সরকারকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন সিন্ধিয়া।
অন্যদিকে সিন্ধিয়া আর কমলনাথে যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় তা সকলেরই জানা। এই পরিস্থিতিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ক্ষোভকেই সম্ভাবনা কাজে লাগাল সম্ভবত বিজেপি। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১১৪। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সপা এবং বসপা বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে কংগ্রেস সরকারের। এদিকে বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭।