তৃণমূলের দলছুটদের ভোটে মোনোনয়নে আপত্তি মদনের, নোয়াপাড়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি : “নোয়াপাড়া ও ব্যারাকপুরের বিধায়করা যদি মনে করে বিজেপির টিকিটে জেতা যাবে না, তারপর রাতারাতি মমতা ভক্ত হয়ে গেল। আমার অনুরোধ দলের কাছে, যারা দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরে অন্য দলে চলে গেছে তাদের যেন দল পুনরায় মনোনয়ন না দেয়।” নোয়াপাড়ায় প্রতিবাদ সভায় ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য মদন মিত্রের।

বুধবার রাতে নোয়াপাড়ার ইছাপুর মানিকতলায় বিজেপি বিরোধী প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে এসে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই আবেদন করেন মদন মিত্র। তিনি আরো বলেন, “মীরজাফরদের বাদ দিয়ে দল যাকে খুশি নির্বাচনের টিকিট দিক, আমার এই মন্তব্যের জন্য দল যদি নির্বাচনে আমাকে টিকিট না দেয়, জেতার পর মন্ত্রী না করে, তাতেও কোনও আপত্তি নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু যারা দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরে চলে গেছে তারা যাতে কোনও ভাবেই মনোনয়ন না পায়। তারা মোনোনয়ন পেলে দলের কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বে।”

এদিকে মদন মিত্রের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নোয়াপাড়ার বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং। নোয়াপাড়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে দলছুট বিধায়কদের মনোনয়ন না দেওয়া ইস্যুতে মদন মিত্রের মন্তব্য যে তাকে ইঙ্গিত করেই, সেরকমটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক সুনীল সিং সাংবাদিকদের বলেন, “আমি দেড় বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও ওই দলে থাকা সম্ভব ছিল না। আমার এমন কোনও খারাপ পরিস্থিতি আসেনি, যে আমাকে আবার তৃণমূলে ফিরে যেতে হবে। আমার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের কারুর সঙ্গে কোনও কথা হয় না। মদনবাবু কি ইঙ্গিত করছেন বুঝতে পারছি না।

ছবি: সুনীল সিং।
মদন মিত্র বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “খেলা হবে। মশলা দিয়ে খেলা হবে, বিজেপি যে মশলা দিয়ে খেলবে, সেই মশলাই কর্মীদের কাছে নির্বাচনের আগে পৌঁছে যাবে। আমরা এই ব্যারাকপুরের ৭ টি বিধানসভার ৭ টিতেই জিতব। অনেকে বলছে জগদ্দল না কি দুর্বল। আমি বলছি, ওই কেন্দ্রে দল প্রার্থী ঘোষণা করুক, চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত কর্মীরা। আমরা সব জিতব। পুলিশ রিপোর্ট ভোট পড়বে উন্নয়নের পক্ষে। তৃণমূল ২২১ টি আসন জিতবেই, আমাদের আসন সংখ্যা ২৫০ হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।”

মদন মিত্রের মশলা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিংবলেন, মশলা, বোম, বারুদ নিয়ে খেলার কথা মদন মিত্রের মুখে শোভা পায় না। এসব শুনলে লজ্জা বোধ হয়। মশলার কথা বুঝি না, মানুষের ভোটে জিতেছি। ভোটে মানুষই শেষ কথা বলে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *