রাজেন রায়, কলকাতা, ২ ডিসেম্বর: কথায় বলে কারোর সর্বনাশ তো কারোর পৌষ মাস। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিতর্কিত মেসেজ নিয়ে যখন দলের মধ্যে তোলপাড়, ঠিক সেই সময় দীর্ঘদিন দলের মধ্যেই নির্বাসনে থাকার পর ফের পরিবহণ দফতরের একটি কমিটির চেয়ারম্যান পদে পুনরায় বসানো হল মদন
মিত্রকে। যেখানে তিনি নিজেই একসময় ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী। শুভেন্দু বিতর্কের মধ্যেই ফের সেই দফতরে পুনঃপ্রবেশ ঘটল মদন মিত্রের।
সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শুভেন্দু অধিকারীও দল ছাড়বেন কি না তা নিয়ে দোটানায়। প্রায় প্রতিদিনই রক্ত চাপ বাড়ছে তৃণমূলে। এর মধ্যে ফেসবুকে টাইম ফর প্যাক-আপ লিখে জল্পনা বাড়িয়ে ছিলেন মমতার দীর্ঘদিনের সৈনিক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনিও কি দল ছাড়ছেন? এমন গুঞ্জনের মধ্যেই রাজ্যের সরকারি কমিটিতে বড় পদ পেলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। যে মদন মিত্রকে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে গ্রেফতার হওয়ার পর বহুদিন দূরে সরিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কঠিন সময়ে তিনি যাতে দল ছেড়ে চলে না যান, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত কিনা তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে পরিবহণ দফতরের একটি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল দফতরের কর্মীরা স্বাস্থ্যসাথী-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখা। এই কমিটিতে রয়েছেন ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টরেটের ডেপুটি ডিরেক্টর, রাজ্য পরিবহণ অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সচিব এবং পরিবহণ সংস্থার বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা। পরিবহণ দফতরের কাজকর্ম থেকে শুরু করে আমলা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সুদূর ভবিষ্যতে শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তথা তার পুরনো পদে তার সম্পূর্ণ অভিষেক হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।