অনুব্রত মণ্ডলের মা কালীর গায়ে চড়বে ৫২০ ভরি সোনার গয়না

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৩১ অক্টোবর: এবার অনুব্রত মণ্ডলের শ্যামা মায়ের গায়ে চড়বে ৫২০ ভরি সোনার গয়না। রবিবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে নিজেই জানালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর স্ত্রী বিয়োগের কারণে নিজের হাতে মায়ের গায়ে গয়না পড়াতে পারেননি তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কার্যালয়ে শক্তির আরাধনায় করে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। পুজোর দুদিন থাকে না কোনও রাজনীতির গন্ধ। ফলে সব শ্রেণির মানুষ পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

তাঁর পুজোর মূল আকর্ষণ সোনার গয়না। প্রথম বছর প্রতিমার গায়ে ছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়না। পরের বছর তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। গতবছর ছিল ৩৫০ ভরি। এবার ১৭০ ভরি বেশি গয়না পরবেন মা। হিসাব অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডলের শ্যামা মা এবার সাজবেন ৫২০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে।

প্রতি বছর বোলপুরের জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হয়ে আসছে শক্তির আরাধনা। পার্টি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই চল দেখে আসছেন বীরভূমবাসী। এর আগে অনুব্রত মন্ডল কংগ্রেসে থাকাকালীনও পুজো করতেন। অনুব্রতর কথায়, “আমি ১২ বছর বয়স থেকে পুজো করে আসছি। নিজেই ছোট বেলায় প্রতিমা গড়তাম। পরে একটু বড় হয়ে পাড়ার গলির ভিতর করতাম এই পুজো। তবে ১৯৮৮ সাল থেকে পার্টি অফিসে পুজো করে আসছি।”
    
অনুব্রত মণ্ডল পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেন না। ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো হয় পঞ্জিকা মেনে। সারা দিন উপবাসী হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেন তিনি। গত বছর স্ত্রী বিয়োগের কারণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়নি। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য জেলার প্রায় সব তৃণমূল নেতাই হাজির থেকে মা’কে অলংকার উপহার দেন। তাদের কেউ বা মনস্কামনা পূর্ণ হবার জন্য, আবার কেউ ভালোবেসে মা’কে উপহার দেন।
   
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মা আমাকে আজ পর্যন্ত নিরাশ করেননি। যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন দু’হাত ভরে। শুধু আমাকে নয়, ভক্তি ভরে যে যা চেয়েছেন তিনি তাই পেয়েছেন। মায়ের অলঙ্কার আমাকে কিনে দিতে হয় না। নিজের অলংকার মা নিজেই করে নেন। তার জন্য কাউকে কোনও দিন কিছু বলার দরকার হয় না। মা দলের নেতা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাধারণ কর্মী এক কথায় সকলকেই দু’হাত তুলে আশীর্বাদ দেন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *