পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর: আসন্ন দুর্গাপূজোয় পদ্ম এবারে অনেক কম দামেই মিলবে বলে জানালেন সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক।
নারায়ণবাবু এক সাক্ষাৎকারে জানান, এবছর পুজো অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক আগে পড়েছে। সাধারণতঃ শিশির পড়া শুরু হলে পদ্মের ফলন কমতে থাকে। কিন্তু এখনো সে রকম শিশির পড়া শুরু না হওয়ায় পদ্মের ফলন বেশ ভালো। তাছাড়াও চলতি বছরে যে সমস্ত নিচু জলাভূমিতে বর্ষার সময় আমন চাষ হয় না, সেই জলাভূমিগুলিতে এবছর ব্যাপক পরিমাণে পদ্মের চাষ হয়েছে। এছাড়াও এবারের বর্ষায় ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে সেই অর্থে বড় বন্যা না হওয়ায় পদ্মের চাষও নষ্ট হয়নি। সব মিলিয়ে ফুলবাজারগুলিতে পদ্মের যোগান যথেষ্ট রয়েছে। দুর্গাপূজায় দেবীর আরাধনার জন্য ১০৮টি করে পদ্ম লাগে। পুজোর মরশুমে সারা রাজ্যে অষ্টমীর দিন প্রায় এক কোটি পদ্মের চাহিদা থাকে। সাধারণত পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, বীরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি জেলাগুলিতে পদ্মের চাষ হয়ে থাকে। মূলত: জলাভূমি, রেল ও জাতীয় সড়কের খাদ বা নয়ানজুলি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া অপরিত্যক্ত মেদিনীপুর ক্যানেলে এই পদ্মের চাষ হয়।
আজ চতুর্থী। আর ৩ দিন পর মহাষ্টমী। কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ জেলার পাইকারী ফুলবাজারগুলিতে আজ পদ্ম বিক্রি হয়েছে তিন থেকে চার টাকা প্রতি পিস। ফলস্বরূপ খুচরো বাজারগুলিতে ওই পদ্মের দাম ডবল হলেও পুজোর দিনগুলিতে ১০টাকার নিচে থাকবে। তাছাড়াও হিমঘরে পদ্ম মজুত করেছে পদ্মচাষি ও ব্যবসায়ীরা। যে কারণে পুজো উদ্যোক্তাদের পদ্মের বাজেটের খরচ অনেকটা কমবে বলে আশা করছেন পুজো কমিটিগুলি। তবে সারা বছরের মধ্যে পুজোর মরশুমে পদ্মচাষিরা অতিরিক্ত দাম পাওয়ার যে আশায় বুক বেঁধে থাকে এবারে তা পূরণ হবে না। অন্যদিকে ওড়িশা সহ অন্য রাজ্য থেকেও এই সময় কোনো পদ্ম আমদানি করতে হবে না বলে জানিয়েছেন নারায়ণবাবু।

