রূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ নভেম্বর: নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমানে শব্দবাজি আটক করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি অভিযান চালায়। প্রচুর পরিমানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আতসবাজি উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে উচ্চ ন্যায়ালয়ের আদেশ অমান্য সহ তিনটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়।
এবার করোনা আবহে কোনওরকম বাজি বিক্রি ও বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। কালীপুজো, দীপাবলি, ছটপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় কোনও বাজি পুড়বে না হাইকোর্টের এই নির্দেশ আসতেই বৃ্হস্পতিবার রাতে বাজি বিক্রি বন্ধ করতে রায়গঞ্জ শহরজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নামে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বাজি বিক্রি ও মজুত করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় প্রদীপ কুমার সরকার, সুরজিৎ সাহা এবং জয়দেব সাহা নামে তিনজন বাজি বিক্রেতাকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ হওয়া বাজি বিক্রি এবং মজুত করা সহ হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করার অপরাধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের এই আচমকা হানা ও তল্লাশি অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাজি ব্যবসায়ী মহলে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এইসব আতসবাজি তারা প্রতিবার বিক্রি করে থাকেন। এগুলো নিষিদ্ধ নয়। হাইকোর্টের নির্দেশের সাথে সাথে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে দোকানগুলিতে। দীপাবলি বা কালীপুজোয় বাজি বিক্রি হবে না এটা আগাম কারও জানা ছিল না। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার আতসবাজি কিনে রেখেছেন তাঁরা। এখন হটাৎ করে বাজি বিক্রির নির্দেশ জারি করায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা।