Lord Jagannath’s, Panihati, একাধিক রেশন দোকানের মাধ্যমে পানিহাটির ৩৭৫০০টি পরিবারের কাছে পৌছবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২২ জুন: রাজ্য সরকারের নির্দেশ মত দীঘার জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদ সারা রাজ্যে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে বিতরণ করার কথা। সেই মত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দেওয়া হবে এই প্রসাদ। আর সেই প্রসাদ তৈরি করতে বিশাল আয়োজন পর্ব চলছে পানিহাটিতে।

সব জায়গার মত এখানেও প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডারের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে দীঘার জগন্নাথ দেবের প্রসাদ খোয়া ক্ষীর। সেই দিয়েই বানানো হবে পানিহাটির লোকেদের জন্য জগন্নাথ দেবের প্রসাদ। তবে কোনো লাভ লোকশান না দেখেই দিঘার গজা বানাচ্ছেন পানিহাটির মিস্টি বিক্রেতা কমল দাস, লাভ লোকশান নয়, মূলত নামের জন্য এই গজার বরাত নেওয়া। তবে গুণগত মাণ যাতে ঠিক থাকে তার তদারকিতে ব্যস্ত পানিহাটি পৌর সভার পৌরপ্রধান নিজেই।

প্রসঙ্গত, দিঘার প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রসাদ সোমার থেকেই পৌছে যাবে সব বাড়ি বাড়ি। পানিহাটির ৮টি কেন্দ্র থেকে এই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিভিন্ন রেশন দোকানের মাধ্যমে ৩৭৫০০টি পরিবারের কাছে পৌছে যাবে। প্রতিটি প্যাকেট পিছু ২০ টাকা করে দিচ্ছে সরকার। আর এই টাকার মধ্যেই প্রতিটি প্যাকেট তৈরী করছে মিস্টি বিক্রেতা। তবে লাভ কিনা লোকসান তা দেখছে না বিক্রেতা নিজেই। শুধু জগন্নাথের প্রসাদ বানিয়ে নাম কিনতে চাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রসাদ তৈরী করছেন বিক্রেতা।

ব্যারাকপুর এসডিও অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ৪৫ কেজি খোয়া ক্ষীর। যেটি প্রসাদ তৈরির সময় প্যারার কাঁচামালের সঙ্গে মিশিয়ে সেই প্রসাদ তৈরী করা হচ্ছে। তবে এক বিশাল কর্মকান্ড চলছে সেখানে। সমস্ত নিয়ম মেনে প্রাসাদের গুণগত মান রক্ষা করেই তৈরি হচ্ছে এই প্রসাদ। আর সেটি যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় তার জন্য কড়া দৃষ্টি রেখেছেন পৌর প্রধান সোমনাথ দে নিজে। তিনি এদিন নিজেই প্রসাদ তৈরির স্থানে পৌঁছে যান এবং সব খতিয়ে দেখেন। তিনি জানান, এটা সৌভাগ্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত জগন্নাথ প্রভুর প্রসাদ সকলকে তারা তুলে দিতে পারবেন। আর সেটা জোর কদমে চলছে। ২৭ তারিখের মধ্যে পানিহাটির ঘরে ঘরে এই প্রসাদ পৌঁছানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলেও দাবি করেন পৌর প্রধান সোমনাথ দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *