আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩০ অক্টোবর : দুর্গা বা কালী নয় লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে এলাকার মানুষ। বাড়ি বা দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে নয় এখানে বেশ কয়েকটি ক্লাবে লক্ষ্মী পুজো হয় ঘটা করে বড় বড় প্যান্ডেল করে। বিগত কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে থিমের প্যান্ডেলও।
গত বছর পর্যন্ত তমলুক থানার কুলবেড়িয়া ও সাঁওতানচক এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় লক্ষ্মীপুজো হয়েছে ধুমধাম করে। শুধু বড় প্যান্ডেল করেই পুজো নয় পুজো উপলক্ষ্যে মেলা, যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই হয়। এবছর সবকিছুতেই কাটছাঁট। করোনা এবং লকডাউনের কারণে এ বছর পুজো হচ্ছে তবে সেই জাঁকজমক আর নেই। দু-একটি থিমের প্যান্ডেল হয়েছে বটে তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা এবছর সেভাবে হবে না। অনেকেই আবার খুব ছোট করে পূজা সারছেন এবছর। তমলুক থানার কুলবেড়িয়াতে এরকম একটি থিমের প্যান্ডেল দেখা গেল যেখানে গতবছর বাজেট ছিল ২৫ লক্ষ টাকা এ বছর তা কমে হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।
তমলুক থানার সাঁওতানচকেও বেশ কয়েকটি বড় মাপের বাড়ির লক্ষ্মীপূজো হয়। সাঁওতানচকের মুনলাইট ক্লাবের পুজোতে গতবারের বাজেট ছিল তিন লক্ষ টাকা এবারের বাজেট ধরা হয়েছে এক লক্ষ টাকা।
সাঁওতানচকের আরো একটি বড়মাপের পুজোর উদ্যেক্তা ফালেশ্বর জিউ বাজার কমিটির পুজোর গতবারের বাজেট ছিল চার লক্ষ টাকা। এবারের বাজেট ৫০ হাজার। বাজেট বেশি থাকলেও অনেকেই আবার বাজেট কমিয়েছেন পুজোয় কিন্তু কিছু টাকা খরচা করছেন করোনার আবহে সমাজ সেবায় ও কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর জন্য। সব মিলিয়ে এখন জমজমাট তমলুকের সাঁওতানচক ও কুলবেড়িয়া গ্রাম।