আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১১ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় থানায় কথা বলতে গিয়ে পুলিশের বাধা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হল বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকেও। শনিবার বিকেলে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে থানায় ঢুকতে বাধা দেন বিজেপি কর্মীসমর্থকদের। দেখতে চাওয়া হয় কোর্টের অর্ডার কপিও। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াতেই পুলিশ কর্মীদের সাথে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি নেতাকর্মীদের। ব্যারিকেড ভেঙ্গে থানা চত্বরে ঢুকে পড়েন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ শতাধিক কর্মীসমর্থক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে মাঠেই বসানো হয় অস্থায়ী থানা। ওসি ও অনান্য পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চলে আলোচনা চক্রও। যেখানে কুমারগঞ্জ থানার ওসি তথা কিশোরী খুনের মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সঞ্জয় মুখার্জি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার দেবাশিস নন্দী সহ দুই ডিএসপিও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা চক্রে চা দিয়ে পুলিশের তরফে অভ্যর্থনা জানানো হলেও ছুঁইয়েই দেখলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়। উল্টে পুলিশকে শোনালেন অভ্যর্থনা নয়, খুনিদের উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করুন। এদিন গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে মৃত কিশোরীর বাড়ি থেকে সোজা কুমারগঞ্জ থানায় আসেন লকেট। থানায় বিক্ষোভ আন্দোলনের পর গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়িতে একটি পথ সভা করে কিশোরী খুনে দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবি তোলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বরা। পথ সভায় যোগ দেন শতাধিক কর্মীসমর্থকও।
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, থানায় সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারে না। তৃণমূল নেতাদের কাজ ও আড্ডার জায়গা হয়েছে থানাগুলি। এদিন কুমারগঞ্জ থানায় ঢুকতে গেলে কোর্টের অর্ডার দেখাতে বলা হয়েছে। মাঠেই অস্থায়ী থানা করে শোনা হয়েছে তাঁদের কথা।