আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১১ জানুয়ারি: বাংলায় দুর্গাদের সম্মান বিক্রি হচ্ছে টাকা দিয়ে, কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে গঙ্গারামপুরে পঞ্চগ্রামে মৃত কিশোরীর বাড়িতে পরিবারের সাথে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য মহিলা সভানেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেখান থেকে পুলিশ আগেই ওই কিশোরীর মা, বাবা ও দাদাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। চোরের মতো পুলিশের এমন কাজের নিন্দা করে সরব হয়েছেন সাংসদ। একই সাথে এদিন পরিবারের অন্যন্য লোকেদের সাথে কথা বলে কিশোরী খুনের ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপির ওই মহিলা নেত্রী।
বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ একঝাঁক নেতৃত্বদের নিয়ে এদিন সকালে বালুরঘাট থেকে গঙ্গারামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংসদকে দেখতে আশপাশের গ্রামের প্রচুর মানুষ ভিড় করেন ওই কিশোরীর বাড়ির সামনে। বাড়িতে গেলেও এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় মৃত কিশোরীর মা, বাবা ও ভাইয়ের সাথে দেখা করতে পারেননি। কেননা সকালেই হঠাৎ করে তাঁদের বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে জানান তার বাড়ির অনান্য সদস্যরা। সাংসদের অভিযোগ তাঁর আসার খবর পেয়ে পুলিশ চোরের মতো তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। ঘটনা জানতে পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলেন লকেট।
জানা যায়, এদিন প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে মৃত কিশোরীর মা, বাবা ও দাদাকে পুলিশ নিয়ে আসে জেলা শাসকের অফিসে। যেখানে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের তরফে ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকার চেক ক্ষতিপূরণ হিসাবে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই পরিবারের হাতে। যেখানে জেলা শাসক নিখিল নির্মল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের সেই ঘটনাকে সামনে এনেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির ওই মহিলা নেত্রী। তিনি বলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে দুর্গাদের সম্মান টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট খাটো ঘটনায় বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে নামলেও এক্ষেত্রে কাউকে সামনে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন লকেট। একই সাথে জেলায় পুলিশের দুর্বল পরিকাঠামোর স্বীকারোক্তিকে আঙুল তুলে এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন লকেট।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এরাজ্যে দুর্গাদের সন্মান টাকা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে। পুলিশের কোন পরিকাঠামোয় নেই জেলায় তা তারা স্বীকারও করেছেন। দোষীদের ফাসির সাজা দিতে সিবিআইয়ের তদন্ত চাই।