সময়মত লকডাউন না হলে এখন আক্রান্তের সংখ্যা হতো সাড়ে চার লাখ

আমাদের ভারত, ৭ মে: লকডাউনের কারণে ভারতে সংক্রমনের হার ৮ গুণ কমেছে। না হলে গত এক মাসেই দেশে চার লাখেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়ে যেতেন। এপ্রিলেই অ্যাকটিভ সংক্রমিত সংখ্যা হতো প্রায় আড়াই লাখ। ফলে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের লাভ হয়েছে বলেই দাবি করেছে মুম্বাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্স।

বিশ্বজুড়ে করোনায় এখনো পর্যন্ত ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকাটা ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আন্দাজ করা এখনো দুরহ। দুলাখেরও বেশি মানুষ এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের থাবায়মারা গেছে। ভারতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার পেরিয়ে গেছে। আগুনের মত ছড়াচ্ছে করোনা। বিশ্বের প্রায় সব দেশে চলছে লকডাউন। মারন ভাইরাসের মোকাবিলায় শুধুমাত্র ঘরবন্দি থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ এখনো কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি এই মারণ ভাইরাসকে কাবু করার।

মুম্বাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সাইন্সের রিপোর্ট বলছে, সঠিক সময়ে যদি ভারতের লকডাউন না হত, তাহলে পরিস্থিতি মারামারাত্মক হতো। তারা বলেছেন, লকডাউন না হলে এত দিন প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতেন ভারতে। মৃত্যু হতো ৩৩ হাজার মানুষের।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে জানানো হয়েছে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে তিন জনের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছিলেন। লকডাউনের কারণেই সংক্রমনের হার যথেষ্ট পরিমাণে কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে সংক্রমণ যে একেবারে বন্ধ করা গেছে তা নয়। কিন্তু সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। সংস্থার প্রধান লক্ষীকান্ত দ্বিবেদী জানিয়েছেন, লক ডাউনের উদ্দেশ্য সংক্রমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনা। এখন একজন ব্যক্তির থেকে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়ে আছে ১.১৬। তাই লকডাউন ঠিকমতো পালিত না হলে এই হার একদিন এই অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *