আমাদের ভারত,২০ অক্টোবর: উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তাই উৎসবে গা ভাসানোর আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দেশবাসীকে আবারও সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার বার্তা,” লকডাউন শেষ হয়েছে ভাইরাস না”। করজোড়ে তার আবেদন,দুই গজের দূরত্ব বজায় রাখুন, সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে থাকুন। বাইরে বেরোলেই মাস্ক পড়ুন।
মোদী বলেন, জীবনধারণের জন্য বেশিরভাগ মানুষকেই প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরোতে হচ্ছে। উৎসবের মরসুমে সুদিন ফিরেছে বাজারেও। কিন্তু লকডাউন শেষ হলেও ভাইরাস কিন্তু যায়নি। গত সাত আট মাস লাগাতার প্রতিটি ভারতীয়র চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা কোনোভাবেই আর বিগরে যেতে দেওয়া চলবে না।
মোদী আরও বলেন, “পাকা ফসল দেখে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। কিন্তু ফসল যতক্ষণ না ঘরে আসে ততক্ষণ আনন্দ করা উচিত নয়। ঠিক তেমনি করোনার বিরুদ্ধে পুরোপুরি সফলতা না আসা পর্যন্ত অসতর্ক হবার কোনো অবকাশ নেই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কোনো ভাবেই দুর্বল হতে দেবো না”।
প্রধানমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দেন, যে কোন পশ্চিমী উন্নত দেশের তুলনায় ভারতে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তার কথায় ভারতে সুস্থতার হার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। মৃত্যুর হারও নগণ্য। ভারতের মতো দেশে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ করোনাই আক্রান্ত। আমেরিকা ব্রাজিলের মতো দেশে তা ২৫ হাজারের কাছাকাছি। ভারতে প্রতি ১০ লাখে মৃতের সংখ্যা ৮৩। আমেরিকা স্পেন ব্রাজিল ব্রিটেনের তার ৬০০র বেশি।
উন্নত দেশের চেয়ে ভারত বেশি সংখ্যক নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সফল হয়েছে। আমাদের দেশে করোনা মোকাবিলায় কি কি করা হয়েছে তার উল্লেখ করেন তিনি । এই মুহূর্তে দেশের ৯০ লক্ষেরও বেশি বেডের সুবিধা রয়েছে। ১২ লক্ষ বেড করোনা সেন্টার। নমুনা পরীক্ষার জন্য দুই হাজার ল্যাব রয়েছে। দেশে কোভিড পরীক্ষা ১০ কোটি পার করতে চলেছে। দিন প্রতিদিন পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ছে। ডাক্তার, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সুরক্ষা কর্মী সকলেই নিরলস কাজ করে চলেছেন।
ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, দেশে একাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। তার কথায় করোনা মোকাবিলার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশ্বজুড়ে কাজ চলছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরাও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টা করছেন। যে কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে দেশে তার মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন অ্যাডভান্স স্টেজেও রয়েছে। সব ভারতীয়র কাছে দ্রুত টিকা পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে সরকার।