স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৩০ জুন: রায়গঞ্জের দক্ষিণ আব্দুলঘাটায় বেহাল অবস্থা কুলিক নদীর বাঁধের। বাঁধের রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কাজের অগ্রগতির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। বালির বস্তা ফেলায় আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বাঁধের ফাটল সারাতে গিয়ে হিতে বিপরীত অবস্থা।
প্রসঙ্গত, কুলিক নদী তীরবর্তী জাতীয় সড়ক থেকে দক্ষিণ আব্দুলঘাটা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধের অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল। বাঁধের উপর দিয়ে বিস্তীর্ণ রাস্তা যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝে তৈরী হয়েছে বিশালাকৃতির ফাটল, কোথাও আবার বড়সড় গর্ত। ঠিক যেন কঙ্কালসার অবস্থা। এই বাঁধের পাশেই অবস্থিত রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাস ও একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সংলগ্ন স্থানে রয়েছে গ্রামীন জনবসতিও। এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়াও মেডিক্যালের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাস ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার মূল রাস্তা এটি। যার জেরে নিত্যদিন লেগেই থাকে টোটো-অটো কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ির যাতায়াত। এদিকে বাঁধের অবস্থা ক্রমশই বেহাল হতে থাকায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দা থেকে ওই পথ দিয়ে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষজন।
মাস খানেক আগে বিডিও নিজে পরিদর্শনে গিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন সকলকে। এরপর শুরু হয় কাজ। ফাটল ও গর্তের মধ্যে বালির বস্তা ফেলে তা পূরণ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে গিয়েছে। ফাটল ও গর্ত আরও বড় আকার ধারণ করেছে। এদিকে বর্ষার মরশুমে ইতিমধ্যেই জল বাড়তে শুরু করেছে কুলি নদীতে। তার মধ্যে বাঁধের এই পরিস্থিতি ঘিরে দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে এলাকাবাসীর। জল আরও বাড়লে দ্রুততার সাথে প্লাবিত হবে এলাকা। রক্ষা পাবে না রায়গঞ্জ শহরও, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
অপর দিকে বাঁধের এই পরিস্থিতি ঘিরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অমল মন্ডল। কাজের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে বার বার এই অবস্থা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি জানান, সংবাদমাধ্যম এলেই কয়েকদিন কাজ হয় তারপর আবার যে কে সেই।
যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, এলাকাবাসীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এখন কত দ্রুত এ ব্যপারে সক্রিয় পদক্ষেপ করা হয় সেদিকেই তাকিয়ে কুলিক পাড়ের মানুষজন।