সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ মে: মৃত স্বামীর সম্পত্তি দখল করতে এসে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং ভাসুরের পরিবারের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযুক্তদের উপর চড়াও হয় এলাকার মানুষ। মেরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাপাবেড়িয়া ১ মাইল পোস্ট এলাকায়।
অভিযোগ, মৃত প্রশান্ত দে’র মায়ের মৃত্যুর আগে ওই জমি সহ বাড়ি তাঁর ছোট ছেলে প্রশান্তর নামে লিখে দিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকালে মৃত প্রশান্ত দে’র প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিতা দে হঠাৎ তাদের বাড়িতে এসে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শিল্পী দত্ত দে ও তার বাচ্চাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমনকি বাড়ির ভেতর থেকে গেটে তালা মেরে দেয়। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শিল্পী দত্ত দে’র অভিযোগ, স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কথা তিনি কোনো ভাবেই জানতেন না। বিয়ের পরও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও শোনা যায়নি। এমনকি স্বামীর মৃত্যুর আগে তাকে কোনো দিন দেখেননি। এক বছর আগে হঠাৎই স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখল করতে এসেছে তারা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আগে কোনো দিন শোনা যায়নি প্রশান্তর কোনো স্ত্রী আছে বা ছিল। এক বছর আগে শিল্পীর সঙ্গে প্রশান্তর বিয়ে হয় এই বাড়িতে। তা এলাকার সকলেই জানে। হঠাৎ করে রীতা নামে এক মহিলা দাবি করছেন সে নাকি প্রশান্তর প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সেই দাবি নিয়ে শিল্পী ও তাঁর এক বছরের ছেলেকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
এরপরে ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ চড়াও হয় রীতা দে ও তার সঙ্গে আসা ভাসুরের পরিবারের চারজনের ওপর। গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে ঢুকে অভিযুক্তদের গণধোলাই দেয়। এরপর ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ রীতা দে’কে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।
মৃত প্রশান্ত দে’র দাদা সুশান্ত দে বলেন, শিল্পী দত্ত কে? তার ভাইয়ের স্ত্রী না। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন।