আমাদের ভারত, ১ মে:আর দুদিনের মাথায় ভারতের দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হতে চলেছে। তার আগে অর্থমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রকাশিত নতুন তালিকা রাজ্যের ১০টি জোনকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে রাজ্যের হিসেবে তার মাত্র চারটি। রাজ্যের হিসেবে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪পরগনা জেলা শুধু মাত্র রেড জোনের মধ্যে পড়ছে। কিন্তু কেন্দ্র প্রকাশিত তালিকায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাও পড়ছে রেড জোনের আওতায়।

কেন্দ্রের তালিকায় হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ রয়েছে অরেঞ্জ জোনে। গ্রিন জোনের মধ্যে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার,দক্ষিণ দিনাজপুর পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম।
গ্রিন জোনের অর্থ এলাকায় গত ২৮ দিনে একটিও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। অরেঞ্জ জোনের অর্থ যেখানে কয়েকটি সংক্রমনের ঘটনা থাকলেও তা আর বাড়েনি।
কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী সারা দেশে রেড জোনের সংখ্যা ১৩০,অরেঞ্জ জোনের সংখ্যা ২৮৪, এবং গ্রিন জনসংখ্যা ৩১১। দেশের প্রধান চারটি শহর কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি রেড জোনের আওতায় রয়েছে। অন্য যে বড় শহর গুলি রেড জোনের আওতায় রয়েছে তা হলো বেঙ্গালুরু আরবান ও পল্লী, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, ভোপাল, পাটনা, আমেদাবাদ, সুরাট, নাগপুর,পুনে।
সবচেয়ে বেশি রয়েছে রেডজোন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে ১৯টি। তারপর রেড জোন রয়েছে মহারাষ্ট্রে ১৮টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে রেড জোনের সংখ্যা ১২টি। এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ.। এখানে রেড জোনের সংখ্যা ১০ টি।
সম্প্রতি কেন্দ্রের একাধিক গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট লক ডাউন ওঠার পরে রেড জোনে কড়াকড়ি বজায় থাকবে। অন্যান্য জায়গার শিথিল হবে। তবে ধাপে ধাপে লকডাউন ওঠানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

