সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ জানুয়ারি: জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই মদের দোকান বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। জনগণের সম্মিলিত বাধার মুখে পড়ে দোকান না খুলে চলে যান আবগারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা। আবগারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা চলে যেতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে একজনকে ধরে এনে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো মদের দোকানের মালিকের লোকেদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কলমবাগান এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান খোলা নিয়ে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলছিল। সম্প্রতি সেই মামলার রায় বের হয়। সেই রায়ের কপি নিয়ে শনিবার আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে দোকান খোলার ব্যবস্থা করতে আসেন দপ্তরের অফিসাররা। কিন্তু জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলা যাবে না বলে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভ জানাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। নিজেদের দাবির সমর্থনে স্থানীয়রা বনগাঁ–বাগদা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এইভাবে দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন চলার ফলে এক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে দোকান না খুলেই ফিরে যান আবগারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
আবগারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে মালিকপক্ষ। এই ঘটনায় মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা এক আন্দোলনকারীকে মারধর করে। আক্রান্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি প্রতিবাদ করেছেন বলেই তাকে মারধর করেছে মদের দোকানের মালিক প্রদীপ রায় এবং তার পক্ষের লোকেরা।
যদিও মদের দোকানের মালিক প্রদীপ রায়ের পাল্টা দাবি, তার দোকানটি তিনি একজনকে দেখভালের দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে আবগারি দপ্তরের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে আজ দোকান খুলতে গিয়েছিল। যিনি এই দোকানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কিছু লোকজনকে টাকা দিয়ে নিয়ে এসে খুলতে বাধা দেয়।