সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৩১ আগস্ট: থানা ঢিলছোড়া দূরত্বে। তবুও অবাধে চলছে দেশি ও বিদেশি মদ বিক্রি। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার দুপা এগোলেই একটি সাইকে গ্যারেজ। দোকানের এক পাল্লা খুলেই বিক্রি হচ্ছে মদ। ক্রেতাকে যাদিও ব্যাগ বা কোমরে মদের বোতল গুঁজে পুলিশের সামনে দিয়েই যাতায়াত করতে দেখা গল।
রাজ্যেজুড়ে চলছে লকডাউন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের নাকা চেকিং চোখে পড়ল। বাইরে বেরনোর কারণ না দেখাতে পারলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি। আবার কোনও কোনও এলাকায় গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। সেখানে দাঁড়িয়ে থানার সামনে একটি সাইকেল গ্যারেজে চলছে অবাধে মদ বিক্রি। ওই গ্যারেজের কাছে যেতেই দেখা গেল কয়েকজন যুবক মদের বোতল কোমরে গুঁজে প্রকাশ্যে হেঁটে থানার সামনে দিয়েই যাতায়াত করছে। মদ কেনার নাম করে ওই গ্যারেজে ঢুকে বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলাম এই লকডাউনের মধ্যে দোকান খুলে মদ বিক্রি করছেন পুলিশ কিছু বলে না? আমার কথায় তিনি উত্তর দিলেন বাবুদের টাকা দিয়েই বিক্রি করি।

এখন প্রশ্ন, নারায়ণ পালের সাইকেল গ্যারেজ কী নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের মধ্যে পড়ে? কেনোই বা অর্ধেক-বন্ধ অবস্থায় খোলা রয়েছে দোকান? ট্রেন চলছে না স্টাফ-স্পেশাল ট্রেন ছাড়া। দেশি বা বিদেশি মদের দোকান বন্ধ থাকে লকডাউনের দিনগুলোতে। তবে পুলিশের নাকের ডগায় অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি চলছে কিভাবে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সাধারণ মানুষের বক্তব্য, লকডাউনের মধ্যে আমরা সব ধরনের আইন মেনে বাড়ি থেকে বের হই না খুবই জরুরি প্রয়োজন না হলে। সেখানে থানার আধিকারিক (ওসি) কী জানেন না ওখানে মদ বিক্রি হচ্ছে? অথচ একান্ত প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে আমাদের হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়।


