সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৯ জুন: আনলক ১ এ যেন একটু খুল্লম খুল্লা! দেখলে মনেই হবে না যে কোভিড ১৯ আবহে রয়েছে পুরুলিয়া। সামাজিক দায়বদ্ধতা এমনকি নিজেদের স্বার্থের বিষয়ও জলাঞ্জলি দিয়ে
সরকারি দফতরের লাইনে দাঁড়িয়েছেন লাইসেন্স প্রাপকরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস মাস্ক পরার বালাই নেই।
জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে থাকা পরিবহন বিভাগে লাইসেন্সের জন্য হুড়োহুড়ি পড়েছে সাধারণ মানুষের। লক ডাউনের সময় প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল সরকারি দফতরের কাজ। থমকে ছিল লাইসেন্সের কাজগুলি। স্বাভাবিক ভাবেই অফিস খুলতেই ভিড় জমছে পরিবহন দফতরে। ভিড় সামলাতে পরিবহন দপ্তরের দরজা বন্ধ করে কাজ সারছেন কর্মীরা। নিয়ম মেনে মাস্ক পরে ৫ জন করে অফিসের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। আর তাই অফিসের বাইরে ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
পরিবহন দফতরের বাইরে মাথার উপরে ছাউনি না থাকায় রোদ বৃষ্টির সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে অজুহাত লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তির। এখানে কোনও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না অকপট স্বীকার সাধারণ মানুষের। পুরুলিয়ায় কোভিড ১৯’ র সংক্রমণের হার কম এবং সুস্থতার হার শতকরা ৯৭ শতাংশ। সরকারি এই পরিসংখ্যান মানসিক স্বস্তি দিলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা কি দেখাবেন না লাইনে থাকা ব্যক্তিরা? প্রশ্ন পুরুলিয়াবাসীর।