আমাদের ভারত, ১৭ জুন: এবার নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও আগামী ২০ জুন রাজ ভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করবেন। বাংলার আগের রাজ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই দিনটি প্রতিবছর রাজ ভবনে পালন করতেন। এরপর সাময়িককালের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন এই দিনটি পালনের সুযোগ পাননি। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করবেন।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনকে বরাবরই বিজেপির কর্মসূচি হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।কারণ এই দিনটির সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম জড়িত। আর বিজেপি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিজেপি দাবি করে শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ যে ভারতের অংশ তাতে সিলমোহর পড়েছিল। তিনি প্রবল ভাবে দাবি করেছিলেন বলেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পেয়েছিল।
জানা যায়, শ্যামাপ্রসাদ দাবি করেছিলেন ভারত ভাগ করলে বাংলাকে ভাগ করে বাংলার হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে। আর এই হিন্দু প্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশ হবে। এই বিষয়ে প্রচার এবং সমর্থনের জন্য শ্যামাপ্রসাদ সারা বাংলা ছুটে বেড়ান এবং কংগ্রেসেরও সমর্থন আদায় করেন বলে দাবি বিজেপির। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের জন্ম। তাই এই দিনটি প্রতিবছর নিয়মিত পালন করে পদ্ম শিবির। ধনখড়ের পর রাজ্যপাল বোসও এই দিনটি রাজভবনে পালন করতে চলেছেন।
নভেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমদিকে তার সঙ্গে রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বের একটু হলেও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল বলে মত অনেকের। কিন্তু বিভিন্ন সময় তার কাছে নানা অভিযোগ নিয়ে ছুটে গেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির একাধিক প্রতিনিধি দলও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কে তেমন রসায়ন চোখে পড়েনি। বরং তিনি রাজ্যপালকে এড়িয়ে চলেছেন বলেই মত অনেকের।
এদিকে নবান্ন ও ধনখড়ে মধ্যে কার সংঘাত পূর্ণ সম্পর্কও বোসের আমলে চোখে পরেনি। কিন্তু তাই বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের আক্রমণ থেকেও নয়া রাজ্যপাল বাদ পড়েননি। তার মধ্যে রাজ্যপালের এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।