আমাদের ভারত, ২৫ অক্টোবর: বাঙালিরা যেমন মাছ- ভাত ভালবাসে ঠিক তেমন চীনাদেরও প্রিয় মাছ- ভাত। তাই কলকাতা থেকে চিংড়ি সহ মাছের রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। বিশেষ করে গত তিন বছরে কলকাতা তথা রাজ্য থেকে চীনের বিভিন্ন শহরে মাছ ও চিংড়ির রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে কলকাতার চীনা দূতাবাস।
সম্প্রতি কলকাতায় ছয়টি বণিক সভার প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন কলকাতার চীনা দূতাবাসের কর্তারা। চীনা কনসাল জেনারেল সু ওয়েই জানান, রবিবার থেকে কলকাতা থেকে চীনের বাণিজ্য নগর গুয়াংঝৌ পর্যন্ত বিমান চালু হচ্ছে। আগামী নভেম্বরে দিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়াংঝৌ পর্যন্ত বিমান চলাচল শুরু হবে। এর ফলে এবার থেকে অতি সহজে কলকাতা ও দেশের অন্যান্য শহর থেকে চীনে ভ্রমণ করা সহজ হবে।
কলকাতার বহু ব্যবসায়ী চীনের দূতাবাসকে জানিয়েছে যে, তারা চীনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। ওড়িশার বহু ব্যবসায়ী ও চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও লগ্নির ব্যাপারে আশাবাদী। ব্যবসায়ীদের জন্য সহজে ভিসা ও সরাসরি বিমান চলাচল হলে এগুলি বাস্তবায়িত করাও সহজ হবে।
আগামী জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১১৫.২ বিলিয়ন ডলার। প্রত্যেক বছর এই পরিমাণ ১০.৯% বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবছর কলকাতার চীনা দূতাবাস ১২ হাজার ৭১৭টি ভিসা দিয়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের থেকেও বেশি। চীনে ভারতের উন্নত মানের সামগ্রিক চাহিদা রয়েছে। কলকাতা থেকে চীনের বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ ও চিংড়ি রপ্তানি করা হচ্ছে। এই পরিমাণ প্রত্যেক বছরই বাড়ছে, যা খুবই ইতিবাচক।
চীনা দূতাবাসের আধিকারিকদের মতে কোন সংস্থা ভালো উন্নত মানের সামগ্রী চীনে রপ্তানি করতে চাইলে দূতাবাস সেতুর ভূমিকা পালন করতে পারে। আম চীনের মানুষের খুব প্রিয়। তাই এই রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা চীনে আম রপ্তানি করতে চাইলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
বণিক সভার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে চীনা দূতাবাস জানায় চীন থেকে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিমান চালু হওয়ার কারণে ভারতে চিনা পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ভারত থেকে চীনেও বেশি পর্যটক যাবে বলে তারা আশাবাদী।

