আমাদের ভারত, ৪ ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর রাম মন্দির তৈরি হয়েছে অযোধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয়েছে। এদিকে জ্ঞানব্যাপীতেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মন্দির ভেঙ্গেই তৈরি হয়েছিল মসজিদ। এবার মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমির জমি বিতর্কেও বড় তথ্য সামনে এলো।
দীর্ঘদিন ধরেই মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি ও তার পাশে থাকা ইদগাহ মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দুপক্ষের দাবি, অযোধ্যার মতো মথুরাতেও মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ গড়েছিলেন। এই নিয়ে আদালতে মামলাও করেছেন তারা। তথ্য জানার আইনের অধীনে সঠিক তথ্য জানতে চেয়ে আগ্রার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন মৈনপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ সিং। অজয়বাবুকে তথ্য জানার অধিকার আইনে জবাবি চিঠিতে আগ্রার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ভেঙ্গে সেখানে মসজিদ তৈরি করেছিলেন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ব্যাখ্যা ১৯২০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার একটি গেজেট প্রকাশ করেছিল, তাতে মন্দিরের বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি ন্যাসের সভাপতি, আইনজীবী মহেন্দ্র প্রতাপ বলেছেন, ব্রিটিশ আমলে এলাহাবাদের তৎকালীন পূর্ত দপ্তরের বিল্ডিং এবং সড়ক বিভাগ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৯টি স্মৃতি স্তম্ভের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত গেজেটে তার উল্লেখ রয়েছে। এই তালিকায় কাটরা কেশব দেবভূমির শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ৩৭ নম্বরে রয়েছে।
আইনজীবী আরো বলেন, “ব্রিটিশ আমলের ওই রেকর্ড আমরা প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করব। সেখানে লেখা আছে, কাটারা টিলা কেশব দেবের মন্দির ছিল। এটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং জায়গাটি মসজিদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
হিন্দুপক্ষের দাবি, মথুরা বিরোধ কিছুটা অযোধ্যার মতো। ঔরঙ্গজেব মথুরার মন্দির ভেঙ্গে সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। ১৬৭০ সালের মথুরার ভাগবা কেশব দেবের মন্দির ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। তারপর সেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
মথুরায় মোট ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানার অধিকার নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ। হিন্দু পক্ষের দাবি, মথুরা শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির আড়াই একর জমিতে মসজিদ তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। অবিলম্বে ঔরঙ্গজেবের তৈরি কাঠামোকে বেআইনি ঘোষণা করে জমি ফেরত দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের রিপোর্ট ঘিরে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে মথুরাতেও।