দেউচা পাঁচামী কয়লাখনির জন্য জমিদাতাদের দেওয়া হল চাকরির নিয়োগপত্র

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ৮ জুলাই: দেউচা পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের মনোনীত সদস্যদের দেওয়া হল জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগপত্র। তবে পাঁচামীতে গিয়ে নয়, প্রশাসনের কর্তারা সিউড়িতেই এই নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ সেরেছেন। সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার নিয়োগপত্র দেওয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ছাড়াও ছিলেন অনুব্রত মন্ডল।

দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কখনও অসুস্থতা, কখনও হাসপাতাল ভর্তি এবং তারপর সিবিআইয়ের 
একের পর এক ডাকের কারণে ‘নিভৃতবাসে’ থাকার পর এদিন প্রকাশ্য কোনো সভামঞ্চে দেখা গেল তাঁকে। মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেছেন, “দেউচা পাঁচামী কয়লাখনি হলে এলাকার ভাল হবে। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন তাই করেন। উঁনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে”।

চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “তিনশো জনের মধ্যে ২৬০ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট সম্পূর্ণ হওয়ায় তাদের  নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আরও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী যে মানবিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা সব মানুষের কাছে পৌছে দিতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর”। তবে এটাও ঠিক, কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলন কিন্তু একই মেজাজেই আছে। গত ৩০ জুন হুল দিবসের দিনে হাজার হাজার মানুষের জল জমি জঙ্গল  রক্ষার শপথ তা জানান দিয়েছে।

বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার আহ্বায়ক গণেশ কিস্কু জানিয়েছেন, “যা খবর পেয়েছি তাতে চাকরি প্রাপকদের মধ্যে এলাকায় বসবাসকারী প্রার্থী রয়েছে হাতেগোনা। বেশির ভাগটাই এলাকায় বসবাস করে না। জমিটুকু আছে। আমরা এখনও আমাদের অবস্থানেই অনড় আছি।মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে যে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল তা একটাও রক্ষা হয়নি। কয়লা খনি প্রকল্প বাতিলের সরকারি ঘোষণা, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি দাবি নিয়ে আমরা লড়ছি। সেই লড়াই আরও বৃহত্তর রূপ নেবে”। 

এলাকার অনেকেই বলছেন, যদি এলাকার মানুষের সমর্থন থাকে তাহলে সিউড়িতে কেন পাঁচামীতে এসে তো চাকরির নিয়োগপত্র দিতে পারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *