Suvendu, BJP, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইজি ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করুক: শুভেন্দু

আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ১৮ ডিসেম্বর: এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইজিকে ঘুগনি বানিয়ে বিক্রির পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার কুসুম্বা গ্রামে গিয়ে এক হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন দিলেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের লাভপুরে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে লাভপুরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর ও বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল ও ধ্রুব সাহা। এদিন লাভপুরে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন বিরোধী দলনেতা। সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর “চপ-মুড়ি বা ঘুগনি বানানোর পরামর্শ নিয়ে প্রশ্ন করতেই শুভেন্দুবাবু বলেন, ”এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়। যে শিক্ষিত যুবক বা যুবতীকে তাদের বাবা-মা পড়াশোনা করিয়ে মানুষ করেছেন, তাদের কি এটাই করার কথা? আমি বলছি যে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) এই কাজটা নিজের বাড়ি থেকেই শুরু করুন। মুখমন্ত্রীর কুসুম্বার মামার বাড়ির পরিবারের একজনের অশিক্ষক পদে চাকরি গিয়েছে। সে ওটা দিয়েই শুরু করুক। সে ঘুগনি বানাক। আমি বিজেপি বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ১,০০০ টাকা দিচ্ছি, সে যেন গিয়ে তার মামার বাড়িতে এটা দিয়ে আসে।”

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিজনেস সামিট আয়োজন করছে—সবকিছু ব্যর্থ হয়েছে। আমার সন্দেহ হয় যে, উপহারের জন্য খরচ করা টাকা শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই ফিরে যাচ্ছে কিনা। দেউচার টেন্ডার বাতিল করতে হয়েছে।”

যোগ্য শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদ। এই সরকার আগস্ট মাস পর্যন্ত টিকবে না। তারপর আমরা যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেব এবং তাদের চাকরি বহাল রাখার জন্য আবেদন করব। অযোগ্যদের ইতিমধ্যেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষা নেব। আমরা পরীক্ষার ওএমআর শিটের কার্বন কপি সরাসরি প্রার্থীদের হাতে তুলে দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *