Sukanta, BJP, যাদবপুর কান্ডের রেশ রাজ্যজুড়ে! হিন্দু ভোট কাটতে পরিকল্পনা করে বামেদের তোল্লা দেওয়া হচ্ছে, দাবি সুকান্তর

আমাদের ভারত, ৪ মার্চ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। বিভিন্ন জায়গায় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই, এআইডিএসও ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ ও অশান্তি শুরু হয়েছে। মারামারি, ধাক্কাধাক্কি কোনো কিছুই বাদ নেই। রক্তারক্তি কান্ড ঘটছে বিভিন্ন জায়গায়। এই সংঘর্ষ ও অশান্তি সবটাই পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

তিনি বলেছেন, রাজ্যে এই পরিবেশটা এখন চলবে। এটা একেবারে পরিকল্পনা করে করা। এর পেছনে নতুন আই প্যাক প্রদীপ জৈনের বুদ্ধি আছে। তাঁর দাবি, সিপিএমকে ইচ্ছে করে তোল্লা দেওয়া হচ্ছে। সিপিএম একটু উপরে উঠলে, সারফেসে এলে কিছু শতাংশ হিন্দু ভোট কাটতে পারে, আর কিছুই নয়।

তাঁর আরো দাবি, দু’পক্ষের (তৃণমূল ও সিপিআইএম) ফিস ফ্রাই জোট আছে। তলে তলে নেতারা এক। আর নীচের তলায় কচি কমরেডরা মার খাচ্ছে। যারা মার্ক্সবাদও বোঝে না, ভারতবর্ষও বোঝে না, তারাই মার খাচ্ছে। উপরের বড় কমরেডরা ফিস ফ্রাই খাচ্ছে।”

সোমবারেও সুকান্ত মজুমদার একই দাবি করে বলেছিলেন, বিজেপিকে রুখতে সিপিএমকে তোল্লাই দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য রাজনীতিতে যাতে সিপিএম প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে সেই চেষ্টা চলছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন, এসএফআই টিএমসিপি সংঘর্ষ তারই উপলক্ষ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেই এখন এটা হবে, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএফআইকে হাইপ দিতে চাইছেন। সিপিআইএমকে হাইফ দিতে চাইছেন। উনি বিজেপিকে রুখতে এসএফআই-কে হাইপ দিচ্ছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখার পর পশ্চিমবঙ্গের সরস্বতী পুজো বন্ধ হবার পর রাজ্যের হিন্দুরা বুঝে গেছেন যে আগামী দিনে বাংলাদেশ পার্ট-২ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। আবার মমতাও জনগণের মন বুঝে গিয়েছেন, তাই হিন্দু ভোটকে ভাগ করতে হবে। কারণ বিজেপি সব হিন্দু ভোট পেলে আর ৪ শতাংশ ভোট পেলেই সরকারে চলে আসবে‌। তাই হিন্দু ভোট ভাগ করতে সিপিএমকে তোল্লাই দেওয়া হচ্ছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার দাবিতে সপ্তাহান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে অশান্তি দেখা দেয়, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাঙ্গনে তা ছাড়িয়ে পড়েছে।এসএফআই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল টিএমসিপি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও সংঘর্ষ হয়েছে। মার খেয়েছে এসএফআই। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এআইডিএসও-র সদস্যরা। টিএমসির সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তাতে দু’জন আহত হয়েছে। মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেটে পোস্টার লাগানো ঘিরে এসএফআই ও টিএমসির মধ্যে ঝামেলা হয়। পাঁশকুড়ার বনমালী কলেজ, মেদিনীপুর কলেজেও তুলকালাম হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *