আমাদের ভারত, ৩১ মে: দু’দিন আগে দেশের সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছিল দিল্লি। কিন্তু এবার দেশবাসীকে চমকে দিয়ে রাজধানীর তাপমাত্রাকেও টপকে গেল নাগপুর। দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫২.৯ ডিগ্রিতে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল মহারাষ্ট্রের নাগপুর। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত ৩০ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগপুরের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের ইতিহাসে এটাই এখনো পর্যন্ত রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে মাত্র ০.৭ ডিগ্রি কম নাগপুরের রেকর্ড করা এই তাপমাত্রা। এই সাংঘাতিক দাবদাহকে শুধু গরম বলা যাবে না। মনে হচ্ছে গরম তাওয়ার উপর বসানো আছে পৃথিবী। উত্তর- পূর্ব ভারতে এই ভয়াবহ গরমে নাজেহাল অবস্থা দেশবাসীর।
একটি সর্বভারতীয় দৈনিক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী মৌসম ভবনের তরফ থেকে নাগপুরে চারটি অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেখানকার একটিতে ৫৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে। ১৯১৩ সালের ২০ জুলাই এখানকার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫৬.৭ ডিগ্রিতে অর্থাৎ পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে মাত্র ০.৭° পিছিয়ে নাগপুর।
এর পাশাপাশি সোনেগাঁওয়ে ৫৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রার এই রিপোর্ট একেবারে সঠিক বলে মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের কর্তাদের দাবি, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলেই অটোমেটিক স্টেশনগুলি সেন্সারের গোলযোগ দেখা যাচ্ছে। ফলে তাপমাত্রার পারদ যা দেখাচ্ছে তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধা রয়েছে। গত বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিল্লিতে। সেখানে মুঙ্গেশপুর এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫২.৯ ডিগ্রি। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেও শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা দেশে। কিন্তু আদৌ এই রিপোর্ট সঠিক কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
তবে ভয়াবহ তাপমাত্রার রেকর্ড ঠিক হোক বা ভুল, উত্তর- পূর্ব ও মধ্য ভারত যে ব্যাপক গরমে পুড়ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তীব্র গরমের কারণে এখনো পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে।